পাকিস্তান ছাড়া সব প্রতিবেশীই পাশে: জয়শঙ্কর

নয়াদিল্লিতে আজ আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রশ্নে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের ভূমিকাই যথেষ্ট ভাল, শুধু একটি দেশ ছাড়া।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৫৫
Share:

ছবি: রয়টার্স।

নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে একটি অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মার্কিন সফর শেষে দেশে ফিরে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, আগামী দিনে ভারতের কূটনৈতিক কর্মসূচির কেন্দ্রে রাখা হবে পাক-বিরোধিতাকে। আজ এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের নাম না-করে সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।

Advertisement

নয়াদিল্লিতে আজ আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রশ্নে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের ভূমিকাই যথেষ্ট ভাল, শুধু একটি দেশ ছাড়া।’’ ব্যতিক্রমী দেশটি যে পাকিস্তান, তা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মঞ্চে নাম না-করে পাকিস্তানকে বেআব্রু করার কৌশল নিয়ে চলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইমরান খানের নেতৃত্বে পাকিস্তান প্রবল ভাবে আক্রমণ করে চলেছে মোদী সরকারকে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনের মঞ্চে পাক প্রধানমন্ত্রীর গোটা বক্তৃতাটিই ছিল ভারত-বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে। আজ ইমরানের বক্তৃতার তীব্র সমালোচনা করেছে নয়াদিল্লি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেছেন, ‘‘উনি (ইমরান) জানেন না কী ভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে হয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে উনি যে বক্তৃতা দিয়েছেন, তা প্ররোচনামূলক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, উনি খোলাখুলি ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদের ডাক দিয়েছেন।’’

Advertisement

গত অগস্টে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পর দু’মাস ধরে বিভিন্ন মঞ্চে উপত্যকায় মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে ইসলামাবাদ। কূটনৈতিক শিবিরের একাংশের মতে, কাশ্মীর নিয়ে ইসলামিক রাষ্ট্রভুক্ত দেশগুলিরও নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন ইমরান। সে কাজে অবশ্য তিনি খুব বেশি সফল হননি। কারণ, বাহরিন বা সৌদি আরবের মতো দেশগুলি প্রকাশ্যেই কাশ্মীর নিয়ে ভারতের পাশেই দাঁড়িয়েছে।

মালয়েশিয়া বা তুরস্ক অবশ্য রাষ্ট্রপুঞ্জে বিবৃতি দিয়ে মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল। তাদের বক্তব্যের নির্যাস, পাকিস্তানের ভূখণ্ড বলপূর্বক ভারত দখল করে রেখেছে। রবীশ আজ সাংবাদিক বৈঠকে মালয়েশিয়া এবং তুরস্কের ওই ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সঠিক তথ্য না জেনে জম্মু-কাশ্মীর সম্পর্কে যে মন্তব্য মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী করেছেন, তার গভীর নিন্দা করছি।’’
তুরস্কের বিবৃতি ‘অসত্য’ এবং ‘পক্ষপাতিত্বপূর্ণ’ বলে জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন