বাবা কতটা ক্ষমতাশালী দেখাতে চেয়েছিলেন ছেলে। তার জন্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন বেশ কিছু বিতর্কিত ছবি। শুধু ছবি পোস্ট করেই অবশ্য চুপ থাকেননি তিনি। ছবিগুলির তলায় স্পষ্ট করে লিখেছেন বেশ কিছু বিতর্কিত ক্যাপশনও। আর ছেলের পোস্ট করা সেই সব ছবি আর ক্যাপশনের জেরে আপাতত সমালোচনার মুখে পড়েছেন জম্মু-কাঠুয়া রেঞ্জের ডিআইজি শাকিল আহমেদ বেগ। তবে গোটা বিষয়টি থেকে নিজেদের গুটিয়ে রেখেছে ওমর সরকার। পুরোটাই চক্রান্তের জেরে হয়েছে বলে দাবি করেছেন বেগও।
কী ছিল ওই সব বিতর্কিত ছবিতে? একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, সোফায় বসে রয়েছেন বেগ। তাঁর জুতোর ফিতে বেঁধে দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। ওই ছবির তলায় ক্যাপশন লেখা, “আসল রাজা-আমার বাবা!! শেষ উনি নিজের জুতো নিজে পরেছেন প্রায় পনেরো বছর আগে।” ছবিতে ডিআইজি বেগের জুতোর ফিতে যিনি বেঁধে দিচ্ছিলেন, তিনি সাদা পোশাকে থাকলেও আসলে পুলিশকর্মী বলেই অভিযোগ। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে পদক নিয়ে বেরিয়ে আসছেন বেগ। এক জন তাঁর মাথায় ছাতা ধরা। সঙ্গে রয়েছেন বেগের ছেলেও। বাবা-ছেলে দু’জনকেই ঘিরে রয়েছে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। বেগের ছেলে তার ক্যাপশনে লিখেছেন, “বাবা আর আমি। নিরাপত্তা, বন্দুক আর ছাতা-এমনকী যখন রোদ নেই, বৃষ্টিও নেই।” অন্য একটি ছবিতে আবার শুধু বেগের ছেলেকেই দেখা গিয়েছে। গল্ফ খেলছেন তিনি। আর কাঁধে বন্দুক নিয়ে এক নিরাপত্তারক্ষী সেখানে ফ্ল্যাগ ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
ছবিগুলি নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পরেই অবশ্য নিজের ভুল বুঝতে পারেন ডিআইজির শিল্পপতি ছেলে। ইনস্টাগ্রাম থেকে তড়িঘড়ি ছবিগুলো তুলেও নেন তিনি। কিন্তু তার আগেই দেশ জুড়ে বেগের বিরুদ্ধে নিন্দায় সরব হন বহু মানুষ।
বিষয়টি নিয়ে অবশ্য মুখ খুলেছেন বেগ নিজেই। একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন, “গোটা জীবন আমি সম্মান নিয়ে কাজ করেছি। এখন অবসর নেওয়ার সময়। কেউ নিশ্চয় দুষ্টুমি করে এটা করেছে।” তাঁর দাবি, তাঁর ছেলের অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য কেউ ওই ছবি পোস্ট করেছে। জুতোর ফিতে অন্য কাউকে দিয়ে বাঁধানোর প্রসঙ্গে বেগের বক্তব্য, “দোকান থেকে নতুন জুতো কিনলেও আপনার জুতো তো দোকানের লোকই বেঁধে দেয়!” জম্মু রেঞ্জের আইজি রাজেশ কুমারকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এটা একেবারেই ডিআইজির ব্যক্তিগত বিষয়। আপনারা ওঁকেই প্রশ্ন করুন।”