ফাইল চিত্র।
ফের অশান্ত কাশ্মীর উপত্যকা। এ বার কুপওয়ারায় হান্দোয়ারা এলাকায় এক স্থানীয় যুবকের হত্যা ঘিরে গত দু’দিন ধরে চলছে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত যে গোটা এলাকার স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে প্রশাসনকে। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
ঘটনার সূত্রপাত গত মঙ্গলবার। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার হান্দোয়ারার হাঙ্গিকুট হাফরুদা এলাকায় তাদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক জঙ্গির। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল সে। কিন্তু পরে জানা যায়, জঙ্গি নয়, সে দিন সেনার গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল শাহিদ বশির মির নামে বছর তেইশের এক স্থানীয় যুবকের। কাশ্মীরের আইজি মুনির খানও জানিয়েছেন, নিহত মির জঙ্গি ছিলেন না। সম্ভবত মঙ্গলবার গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।
মিরের বাড়ি হান্দোয়ারাতেই। তাঁর বাবা বশির আহমেদ জানিয়েছেন, তারাথপোরার একটি দোকান থেকে কিছু জিনিস কিনতে গত সোমবার রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তাঁর ছেলে। তার পর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ মেলেনি। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে বশিরদের কাছে ফোন আসে ভিলগামের সেনা ছাউনিতে একটি দেহ রয়েছে। তাঁরা গিয়ে দেখেন গুলিবিদ্ধ মিরের দেহ পড়ে রয়েছে সেনা ছাউনিতে।
মিরের মৃত্যুর খবর জানার পর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে তাঁদের। আজ কুপওয়ারার ডেপুটি কমিশনারের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা।
অন্য দিকে জঙ্গিদের দু’টি বড় দল নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ঢুকেছে বলে খবর পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তাই জম্মুর কয়েকটি স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।