ভেঙে পড়েছেন স্ত্রী। ছবি: বাপি রায়চৌধুরী।
পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আজ শেষকৃত্য সম্পন্ন হল নিহত বিএসএফ জওয়ান শম্ভু সাতমুড়ার। গত মঙ্গলবার বিকেলে জম্মু-কাশ্মীরে ভারত-পাক দুর্গম পাহাড়ি সীমান্তে এক ল্যান্ডমাইন বিষ্ফোরণে ত্রিপুরার যুবক শম্ভু নিহত (২৮) হন। বিএসএফের ১০৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ান ছিলেন তিনি। আজ সকালে ইন্ডিয়ান এয়ালাইন্সের এক বিমানে তাঁর মৃতদেহটি আগরতলায় এসে পৌঁছয়। বিমানবন্দর চত্বরে কফিনবন্দি শম্ভুর মৃতদেহে শ্রদ্ধা জানান রাজ্য সরকার এবং বিএসএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। পরে বিএসএফের গাড়িতে সহকর্মীরা কফিনবন্দি শম্ভুকে নিয়ে সোজা পৌঁছে যান পূর্ব প্রতাপগড়ের শহরতলিতে, তাঁর বাড়িতে। পরিবারের সদস্যরা, আত্মীয়স্বজনরা ছাড়াও হাজার হাজার মানুষ চোখের জলে, ফুলের মালায়, জাতীয় পতাকা নেড়ে বীরযোদ্ধা শম্ভুকে বিদায় জানান। শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং জনপ্রতিনিধারাও। রাজ্য বিএসএফের আইজি, বিভিন্ন ব্যাটেলিয়নের কম্যান্ড্যান্টদের উপস্থিতিতে আগরতলার বটতলা মহাশ্মশানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আজ দুপুরে শম্ভুর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। ত্রিপুরা তথা দেশের বীর শহিদ শম্ভু সাতমুড়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে শ্মশানেও বহু মানুষ হাজির ছিলেন।
কাশ্মীরে হত ৫
জঙ্গিদের সঙ্গে বাহিনীর সংঘর্ষে শুক্রবারও উত্তপ্ত রইল কাশ্মীর। আলাদা আলাদা ঘটনায় এক সেনা ও দুই পুলিশকর্মী নিহত হয়েছেন। খতম হয়েছে দুই জঙ্গিও। পুলিশ জানিয়েছে, কুলগামে পুলিশের একটি দলের উপরে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তাতে তনভির আহমেদ ও জালালুদ্দিন নামে দুই পুলিশকর্মী নিহত হন। আহত হয়েছেন শামসুদ্দিন নামে আর এক পুলিশকর্মী। মানজপোরা এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের জওয়ান চন্দ্র সিংহ ও দুই লস্কর জঙ্গি। সোপোরে আব্দুল মজিদ মির নামে এক জঙ্গিকে পাকড়াও করেছে সেনা ও পুলিশ। অন্য দিকে ১৯ সপ্তাহ পরে শুক্রবারের প্রার্থনা হল শ্রীনগরের জামিয়া মসজিদে। অশান্তির সময়ে ওই মসজিদে প্রার্থনার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন।