ফিরলেন আম্মা। শনিবার শপথবাক্য পাঠ করার পরে তামিলনাড়ুর নতুন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা।
প্রস্তুতি ছিল অনেকই। অনুষ্ঠানও হল ভালই। কিন্তু জাতীয় সঙ্গীতের শুধু দু’লাইন বাজিয়ে শপথেই বিতর্ক তৈরি করলেন তামিলনাড়ুর নয়া মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা।
আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় মুক্তি পাওয়ার পরে আম্মার হাতে ফের রাজ্যের ভার যাওয়া নিয়ে গত কাল থেকেই উত্তেজনায় ফুটছেন সমর্থকেরা। মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিপক ক্যাম্পাসে আজ জয়ললিতার শপথের রং ছিল সবুজ। আম্মার পরনের শাড়ি থেকে সই করার পেন, সবই তাঁর পছন্দের রঙের। অতিথির তালিকায় রাজনীতিকদের পাশাপাশি হাজির ছিলেন সুপারস্টার রজনীকান্ত, অভিনেতা শরদকুমার, শিল্পপতি এন শ্রীনিবাসন-সহ অনেকেই।
নেত্রীর সঙ্গে শপথ নিয়েছেন ২৮ জন মন্ত্রী। এক এক জন করে না ডেকে দু’বারে ১৪ জন করে গণ শপথ পাঠ করিয়েছেন রাজ্যপাল কে রোসাইয়া। বিষয়টি নতুন। টুইটারে তা নিয়ে সরস মন্তব্যও দেখা গিয়েছে। কিন্তু সংবিধানে গণশপথে কোনও বাধা নেই। জাতীয় সঙ্গীতের দু’লাইন বাজানো নিয়ে অবশ্য প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে।
শপথের আগে তামিলনাড়ু সরকারের তরফে জানানো হয়, প্রথমে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হবে। তার পরে তামিল দেবীর আবাহনের সঙ্গীত। কিন্তু অনেককেই অবাক করে জাতীয় সঙ্গীতের কেবল প্রথম ও শেষ লাইন বাজানো হয়। তার পরে শুরু হয় তামিল দেবীর আবাহন সঙ্গীত। শপথের পরে অবশ্য পুরো জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়।
স্বভাবতই এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। টুইটারে অনেকেরই বক্তব্য, ‘‘কেবল জয়া হে, জয়া হে, জয়া হে শোনা গেল...তামিলনাড়ুতে বোধহয় এটাই জাতীয় সঙ্গীত।’’
শনিবার মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিপক ক্যাম্পাসে তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল কে রোসাইয়ার কাছে
শপথবাক্য পাঠ করলেন রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। এ দিন শপথ নিয়েছেন ২৮ জন মন্ত্রীও।
কিন্তু জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর নিয়ম কী? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ম অনুযায়ী, ন’টি ক্ষেত্রে জাতীয় সঙ্গীত পুরো ৫২ সেকেন্ড জুড়ে বাজাতে হবে। তার মধ্যে একটি হল রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সরকারি অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বা উপ-রাজ্যপাল আসা বা চলে যাওয়ার সময়ে। জয়ললিতার শপথের অনুষ্ঠানটি এই শ্রেণিতে পড়ে। সেনাবাহিনীর মেসে কোনও কোনও ক্ষেত্রে কম সময় ধরে জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর নিয়ম রয়েছে।
দক্ষিণের বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যান্টনির কথায়, ‘‘এমন হবে ভাবাই যায় না। কী প্রতিক্রিয়া দেব তা ভেবে পাচ্ছি না।’’
ছবি: পিটিআই।