প্রতীকী ছবি।
দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটল দিল্লির অভিজাত ও ব্যস্তবহুল করোলবাগ এলাকায়। একই দিনে, একই বিল্ডিংয়ের দু’টি গয়না প্রস্তুতকারক সংস্থা থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকার গয়না লুঠ করে পাঁচ দুষ্কৃতী।
আরও পড়ুন: চিকিৎসকের শপথেও গৈরিক ছোঁয়া
করোলবাগের রায়গড়পুরা এলাকার একটি পাঁচতলা বিল্ডিংয়ের উপরের দু’টি তলে গয়না প্রস্তুতকারক সংস্থা দু’টির অফিস। একটি হল ইন্দো-ওয়েস্টার্ন কমোডিটিস ট্রেড প্রাইভেট লিমিটেড এবং অন্যটি শ্রী পদ্মাবতী ডায়মন্ডস প্রাইভেট লিমিটেড। ইন্দো-ওয়েস্টার্ন-এর মালিক চিরাগ বর্মা পুলিশকে জানান, ১৯ অক্টোবর তাঁদের ইউনিট বন্ধ ছিল। যদিও পুজোর জন্য সংস্থার ম্যানেজার গৌরব কুমার এবং এক কর্মী দুপুর ১টা নাগাদ এসেছিলেন। দেড়টা নাগাদা তাঁরা বেরিয়ে যান। পর দিন সকালে ওই বিল্ডিংয়ের মালিকের হিসাবরক্ষক বর্মাকে ফোন করে চুরির বিষয়টা জানান। তড়িঘড়ি ইউনিটে গিয়ে বর্মা দেখেন ভল্টের তালা ভাঙা। ভল্টের ভিতরে থাকা গয়নাগুলোও উধাও। বর্মার দাবি, প্রায় ৬ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার কাঁচা সোনা ও গয়না চুরি হয়ে গিয়েছে।
অন্য দিকে চার তলার যে গয়না প্রস্তুতকারক সংস্থা রয়েছে, ঘটনাচক্রে ওই একই দিনে সেখানেও চুরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংস্থার সুপারভাইজার নীরজ নানচাল। তিনি পুলিশকে জানান, ১৯ অক্টোবর সাড়ে ১১টা নাগাদ পুজোর জন্য অফিস খোলেন। সাড়ে ৩টে অফিসে তালা লাগিয়ে বেরিয়ে যান। পর দিন সকালে বিল্ডিংয়ের ওই হিসাবরক্ষকই চুরির কথা জানান নানচালকে। খবর পেয়েই তিনি অফিসে গিয়ে দেখেন মূল দরজা ভাঙা, ভল্টের তালাও ভাঙা ছিল। নানচাল পুলিশের কাছে জানান, ৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকার গয়না চুরি গিয়েছে তাঁদের।
আরও পড়ুন: অন্য দেব-দেবীর পুজো করলে খোয়াতে হবে ধর্ম, ফতোয়া দারুল উলুমের
দুটো ঘটনার বিবরণ, সময়, এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে ডাকাতদের একটাই দল এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। সিসিটিভি ফুটেজে দুষ্কৃতীদের দেখা গিয়েছে বলেও জানান তিনি। অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, ওই বিল্ডিংয়েই এক নেপালি ও তাঁর সঙ্গী থাকতেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই দু’জনকে খুঁজছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে আশপাশের লোকজনদেরও। কবে এখনও পর্যন্ত এই চুরির কিনারা হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।