প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চ্যালেঞ্জ জিগ্নেশের

অবশ্য ঘরোয়া আলাপাচারিতায় জিগ্নেশ জানাচ্ছেন, রাহুল তাঁকে কথা দিয়েছেন, গুজরাতের দলিতদের দাবির ৯০ শতাংশ মেনে নিতে প্রস্তুত তিনি। অন্য দিকে জিগ্নেশও ভোটে তাঁকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:১৯
Share:

ভোটের মুখে গুজরাতের প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তারই ফাঁকে আজ দিল্লি এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ
ছুড়ে দিলেন দলিত নেতা জিগ্নেশ মেবাণী। তাঁর কথায়, ‘‘মোদী-অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি, গুজরাতের বিকাশ মডেল নিয়ে খোলা বিতর্কে নামুন। আমি তৈরি।’’ জিগ্নেশের অভিযোগ, বিজেপি সরকার বছরের ১০ মাস গুজরাতের উন্নয়ন নিয়ে প্রচার করে। বাকি ২ মাস সাম্প্রদায়িক তাস খেলে তারা।

Advertisement

গত কালই ‘সেক্স সিডি’ বিতর্কে পাতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক পটেলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন জিগ্নেশ। আজ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সামনে প্রসঙ্গটি বারবার তুলে ধরেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘‘এই ঘটনাই প্রমাণ করে বিজেপি ভয়ে কুঁকড়ে গিয়েছে। অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের কথা তারা বলতে পারছে না।’’ দলিত নেতার অভিযোগ, ‘‘কৃষকদের আত্মহত্যা নিয়ে বিজেপি চুপ। নর্মদা বাঁধের পাশে যে মানুষের খাওয়ার জল নেই তা নিয়েও কোনও কথা বলছে না তারা। তাই এক জনের শোওয়ার ঘরে ‘স্পাই ক্যাম’ লাগাতে হচ্ছে ওদের।’’

রাহুল গাঁধীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন মেবাণী। বিজেপি-র কাছে যাতে একটিও দলিত ভোট না যায়, সে জন্য চরকি পাক খাচ্ছেন, সভা করছেন রাজ্য জুড়ে। কিন্তু প্রকাশ্যে কংগ্রেসকে সমর্থন করার কথা বলতে চাইছেন না। তাঁর কথায়, ‘‘মানুষই স্থির করবে। বিজেপির বিকল্প হিসেবে
কাকে তাঁরা ভোট দেবেন— সেই বিষয়টা তাঁদের উপরেই ছেড়ে দিতে চাইছি।’’ অবশ্য ঘরোয়া আলাপাচারিতায় জিগ্নেশ জানাচ্ছেন, রাহুল তাঁকে কথা দিয়েছেন, গুজরাতের দলিতদের দাবির ৯০ শতাংশ মেনে নিতে প্রস্তুত তিনি। অন্য দিকে জিগ্নেশও ভোটে তাঁকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

Advertisement

আজ পাতিদার নেতা হার্দিকের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মোদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দিয়েছেন মেবাণী। কিন্তু এটাও তো ঘটনা যে, দলিত নির্যাতনের পিছনে অনেক সময়েই থাকে পটেলদের ভূমিকা। সামাজিক সুযোগ সুবিধা পেতে গিয়ে ওবিসি-দের সঙ্গে নিরন্তর সংঘর্ষ চলে দলিতদের। এই পরস্পর-বিবাদমান সম্প্রদায়গুলি শেষ পর্যন্ত কী ভাবে একজোট হবে? আশাবাদী জিগ্নেশ। বললেন, “এটা নতুন কিছু নয় যে, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মতভেদ রয়েছে আমাদের মধ্যে। কিন্তু এখন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। সব সম্প্রদায়েরই একটিই প্রতিপক্ষ। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাই আমরা একজোট।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন