জেএনইউয়ে কার্গিল বিজয় দিবস পালনে ক্ষুব্ধ প্রাক্তনরা

কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, বিদেশ প্রতিমন্ত্রী তথা প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভি কে সিংহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম জগদীশ কুমার এবং একাধিক প্রাক্তন সেনার উপস্থিতিতে এ দিন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ২২০০ ফুটের জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল হয়। তাতে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের একাংশও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৭ ০৪:৫৭
Share:

ছবি: সংগৃহীত

বাম ও বিরোধী রাজনীতির গড় বলে পরিচিত জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) এ বারে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়লেন নরেন্দ্র মোদী সরকারের মন্ত্রীরা। তাঁদের উপস্থিতিতে এই প্রথম সেখানে হইহই করে পালিত হল কার্গিল বিজয় দিবস। যে ভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের উপস্থিতি ও উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এই অনুষ্ঠান হয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ বহু প্রাক্তন পড়ুয়া।

Advertisement

কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, বিদেশ প্রতিমন্ত্রী তথা প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভি কে সিংহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম জগদীশ কুমার এবং একাধিক প্রাক্তন সেনার উপস্থিতিতে এ দিন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ২২০০ ফুটের জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল হয়। তাতে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের একাংশও। উপাচার্যের কথায়, ‘‘জেএনইউ-তে তেরঙ্গা যাত্রা একটা ঐতিহাসিক ঘটনা।’’

২০১৪-তে মোদী সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাম রাজনীতির গড় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতা দখলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সঙ্ঘ পরিবার। গত বছর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে বাম ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারের গ্রেফতার ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে জাতীয় রাজনীতি। কানহাইয়া ও তাঁর সহপাঠীদের বিরুদ্ধে দেশবিরোধিতার অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি। তাঁরা জামিনও পান। ওই ঘটনায় বিজেপি তথা মোদী সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনায় সরব হন দেশের পাশাপাশি বিদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া-শিক্ষকরাও। চাপের মুখে সে সময় থেমে গেলেও ভিতরে ভিতরে দেশের অন্যতম সেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গেরুয়া বাহিনীকে ঢোকানোর চেষ্টা চলেছে বলে বারেবারে অভিযোগ উঠেছে। সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ উপাচার্য জগদীশ কুমারকে সামনে রেখে সেই কাজ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

প্রকাশ কারাট, সীতারাম ইয়েচুরি, কানহাইয়া কুমারের মতো বাম ছাত্রনেতাদের আঁতুড়ঘর জেএনইউ-তে সঙ্ঘ পরিবার কখনওই সে ভাবে মাথা তুলতে পারেনি। এ দিন যে ভাবে বিজেপির মন্ত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর দাপান, তাতে ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষক-পড়ুয়া। এক প্রাক্তন ছাত্রনেতার কথায়, ‘‘যে বিজেপির আমলে কার্গিল যুদ্ধে শহিদ সেনাদের কফিন-কেলেঙ্কারি হয়েছে, তারাই আজ কার্গিল দিবস পালন করছে! যারা ব্রিটিশদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ধরিয়ে দিত, সেই সঙ্ঘ পরিবার এখন দেশপ্রেম শেখাচ্ছে! এটা এক ধরনের তামাশা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন