অস্ত্রোপচারের আগে ( বাঁ দিকে) ও অস্ত্রোপচারের পরে। ছবি: সংগৃহীত।
৩৬ ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচার। টানটান উত্তেজনা। একটা চ্যালেঞ্জ। অবশেষে বড়সড় সাফল্য।
বিরল অস্ত্রোপচার করে যমজ সন্তানের জোড়া মাথা আলাদা করে তাক লাগিয়ে দিলেন দিল্লির একটি সরকারি হাসপাতালের চিকিত্সকেরা। বছর দুয়েকের যমজ সন্তানের চিকিত্সার জন্য ওডিশার একটি গ্রাম এসেছিলেন এক দম্পতি। জটিল এই অস্ত্রোপচারের জন্য গত বুধবার ৪০ জন চিকিত্সক, ২০ জন নার্স এবং প্যারামেডিক্যাল স্টাফদের নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: সেক্স ভিডিও কাণ্ড: এ বার বিজেপির রোষে ছত্তীসগঢ় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি
সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে প্লাস্টিক সার্জেন মণীশ সিঙ্ঘল জানান, এটা তাঁদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল। মাথা দুটো আলাদা করা যে কতটা ঝুঁকির সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় ছিল মাথা দুটো আলাদা করতে গিয়ে খুলিতে যে গর্তের সৃষ্টি হয়, সেটা কী ভাবে মেরামত করা হবে। সিঙ্ঘল আরও জানান, মাথার ওই ফাঁকা জায়গাটায় প্রথমিক ভাবে চামড়া দিয়ে ঢেকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে সেটা সম্ভব হয়। তবে এ ক্ষেত্রেও অস্ত্রোপচারের অনেক ঝুঁকি ছিল। কিন্তু, সেটাও চ্যালেঞ্জ হিসাবে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: লস্করেই যোগ দিয়েছেন কাশ্মীর পুলিশের উধাও হওয়া সেই জওয়ান
টানা ৩৬ ঘণ্টা ধরে অপারেশন থিয়েটারের মধ্যে রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে জানান ওই দলেরই এক চিকিত্সক। অবশেষে বিরাট যুদ্ধ জয় হয় চিকিত্সকদের। শিশুদের মাথা আলাদা করা হয়। চিকিত্সকরা জানান, তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে কী ভাবে মাথার খুলির ওই ফাঁক হওয়া জায়গাটা মেরামত করা যায়।
চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, এ ধরনের শারীরিক বিকৃতি ২৫ লক্ষের মধ্যে এক জনের হয়। এদের বেঁচে থাকার হারও অনেক কম থাকে— ৫ থেকে ২৫ শতাংশের মধ্যে।