ত্রিপুরায় কুপিয়ে খুন সাংবাদিককে

গত কাল গণমুক্তি পরিষদের একটি সমাবেশ ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছিল ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্তে। এ দিনও সকাল থেকে মান্দায়য়ে জমায়েত করে আইপিএফটি সমর্থকরা। পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলা হয় সাংবাদিকদের। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, সেই ‘নির্দেশ’ না মেনে মোবাইল ক্যামেরায় ছবি তুলছিলেন শান্তনুবাবু।

Advertisement

বাপি রায়চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:৫১
Share:

হাসপাতালে নিহত শান্তনু ভৌমিকের দেহ। নিজস্ব চিত্র।

খবর সংগ্রহে যাওয়া সাংবাদিককে পিটিয়ে, কুপিয়ে খুন করা হল ত্রিপুরায়। অভিযোগের তির উপজাতি সংগঠন আইপিএফটি সমর্থকদের বিরুদ্ধে। আজ পশ্চিম ত্রিপুরার মান্দায়য়ে ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত সাংবাদিকের নাম শান্তনু ভৌমিক (২৮)। বাড়ি জিরানিয়ায়। এ দিন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে গুরুতর জখম হন ‘ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস’-এর কয়েক জন জওয়ানও।

Advertisement

গত কাল গণমুক্তি পরিষদের একটি সমাবেশ ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছিল ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্তে। এ দিনও সকাল থেকে মান্দায়য়ে জমায়েত করে আইপিএফটি সমর্থকরা। পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলা হয় সাংবাদিকদের। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, সেই ‘নির্দেশ’ না মেনে মোবাইল ক্যামেরায় ছবি তুলছিলেন শান্তনুবাবু। দুপুর ১টা নাগাদ তাঁকে ঘিরে ফেলে কয়েক জন আইপিএফটি সমর্থক। অভিযোগ, লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। রাস্তায় ফেলে ধারালো অস্ত্রে কোপানো হয় তাঁকে। রক্তাক্ত সাংবাদিককে এর পর মান্দায় স্টেডিয়ামের পিছনে ফেলে রাখা হয়। বিকেলের দিকে পুলিশ শান্তনুবাবুকে উদ্ধার করে জি বি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানায়, খোয়াই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এ দিন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। টহল দিচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনী।

উপজাতিদের উস্কানি দিয়ে, তাঁদের ভুল বুঝিয়ে ত্রিপুরায় অশান্তি তৈরি করছে বিজেপি— গত কাল এক সমাবেশে এমন অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। আগরতলায় সিপিএমের উপজাতি সংগঠন গণমুক্তি পরিষদের সভায় মানিকবাবু রাজ্যের উপজাতিদের সতর্ক করে বলেন, ‘‘বিজেপির উপজাতি প্রীতি অসমে বোঝা গিয়েছে। সেখানে উপজাতিদের জমি রামদেব বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’’ গত কাল থেকে গণমুক্তি পরিষদের সমর্থকদের সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আইপিএফটি সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। খোয়াই জেলার বিভিন্ন জায়গায় দু’দলের সমর্থকদের সরাতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়| পশ্চিম জেলার এসপি অভিজিৎ সপ্তর্ষি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং জিরানিয়া থানার ওসি জখম হন। অভিযোগ, বেলবারি, মান্দায় ও খুমুলং এলাকার সিপিএম পার্টি অফিস ভেঙে দেয় আইপিএফটি সমর্থকরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement