জলপাইগুড়ি থেকে ধৃত দুই নাবালক দীপক মিনাজ এবং ফ্রান্সিস ওরাওঁকে যেন তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়— জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বদর দুরেজ পুলিশকে এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা বলেছেন। মানুষ পাচার চক্রে জড়িতদের ধরতে গিয়ে একটি হাউসবোটে এই দুই কিশোরের খোঁজ পায় জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। ফ্রান্সিস সদ্য ১৮-য় পা দিয়েছে। দীপক ১৩ বছরের কিশোর।
বিচারপতি দুরেজ বলেছেন, জলপাইগুড়ির শিশুকল্যাণ কমিটির হাতে ওদের তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শ্রীনগরের এসএসপি ইমতিয়াজ ইসমাইল বলেছেন, মানুষ পাচার চক্রে জড়িত লোকজনকে ধরপাকড়ের সময় গত জুন মাসে ওই দুই কিশোরকে একটি হাউসবোটে পাওয়া গিয়েছিল। এ দিন শুনানির সময়ে আদালতে হাজির ছিলেন দীপকের বাবা। ফ্রান্সিসের কোনও অভিভাবক ছিলেন না আদালতে। পুলিশের দাবি, ওদের বাবা-মা ওদের ফেলে চলে যায়। শ্রীনগরের জেলাশাসক সইদ আবিদ রশিদ বিচারপতিকে জানান, দীপকদের নেহরু পার্ক থানায় পুলিশের মানুষ পাচার দমন শাখার হাতে তাদের তুলে দেওয়া হয়েছিল।
এ দিন বিচারপতি দীপককে সরাসরি প্রশ্ন করেন, ‘‘তুমি কোথায় যেতে চাও?’’ সে বলেছে, ‘‘বাড়ি।’’ তখন বিচারপতি বলেন, ‘‘শিশুর কল্যাণই মুখ্য বিষয়। আর এই নাবালক শিশুর যত্ন নিতে পারবেন তার মা-ই। তাই তাদের মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। ওদের সরকারি স্কুলে পড়াতে হবে। দেখতে হবে, তারা যেন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়।’’
ওই দুই কিশোরকে উদ্ধার করায় বিচারপতি প্রশংসা করেছেন পুলিশের। পরে বলেছেন, ‘‘এ বার দেখতে হবে ওরা যেন পরিবারের কাছে ঠিকমতো পৌঁছয়।’’