Kamala Harris

‘সাহায্যে’ দিল্লি হতোদ্যম নয়

আশা করা হচ্ছে এর ফলে ঘরোয়া উৎপাদন এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। বিদেশি টিকার মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না ভারতকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২১ ০৭:০৮
Share:

ফাইল চিত্র।

আমেরিকার প্রথম দফার টিকাবণ্টনে ভারতের ভাগে জুটেছে সামান্যই। কিন্তু তাতে হতোদ্যম হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে দাবি করেছে সাউথ ব্লক। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কাল রাতে (ভারতীয় সময়) আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ফোনে কোভিড প্রতিষেধকের কাঁচা মাল নিরবচ্ছিন্ন ভাবে জোগানের প্রশ্নে সুস্পষ্ট আশ্বাস মিলেছে। আশা করা হচ্ছে এর ফলে ঘরোয়া উৎপাদন এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। বিদেশি টিকার মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না ভারতকে।

Advertisement

গত কাল ফোনে হ্যারিসের সঙ্গে কথা বলার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, “আমেরিকার আন্তর্জাতিক প্রতিষেধক বণ্টন কৌশলের অংশ হিসেবে ভারতকে টিকা জোগান দেওয়ার ব্যাপারে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়টিকে আমি গভীর ভাবে স্বাগত জানাচ্ছি। আমেরিকা সরকারের সহায়তা এবং সহমর্মিতার জন্য তাঁকেও (কমলা হ্যারিস) আমি ধন্যবাদ জানিয়েছি।” ভারত ও আমেরিকার প্রতিষেধক-সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও মজবুত হবে, এই আশা ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “কোভিড পরবর্তী বিশ্বের স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক অবস্থা পুনরুদ্ধারেও দু’দেশের অংশিদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।”

হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে করোনা টিকার কমপক্ষে আট কোটি ডোজ় পাঠাবে আমেরিকা। প্রথম দফায় বিশ্বে ২.৫ কোটি ডোজ় দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে ৭০ লাখ ডোজ় ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের মতো এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পাঠাবে আমেরিকা। তা ছাড়া কানাডা, ভারত, মেক্সিকো এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশে সরাসরি ৬০ লাখ ডোজ় পাঠানো হবে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, এই পরিকল্পনার কথা জানাতেই গত কাল মোদীকে ফোন করেছিলেন হ্যারিস।

Advertisement

আজ আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রকের কর্তা গেইল স্মিথও একটি সম্মেলনে বিভিন্ন দেশকে প্রতিষেধক বণ্টনের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়েছেন। ‘গ্লোবাল কোভিড রেসপন্স টিম’-এর কোঅর্ডিনেটর তথা আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রকের কর্তা স্মিথ জানিয়েছেন, অতিমারির প্রভাবে নিম্ন এবং মাঝারি আয়ের দেশগুলির উপর কী প্রভাব পড়েছে, সে ব্যাপারে তাঁরা সচেতন। প্রতিষেধক বণ্টন ও পরবর্তী কালে অর্থনৈতিক অবস্থা পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

তবে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, শেষ পর্যন্ত ভারতে যে পরিমাণ প্রতিষেধক পাঠানো হবে আমেরিকা থেকে, তা দিয়ে এ দেশে বড়জোর এক দিন টিকাকরণ চলবে। প্রসঙ্গত, গত মাসেই আমেরিকায় গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনিই প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যিনি জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সে দেশে গেলেন। দু’দিনের সফরে তিনি আমেরিকান প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কয়েক জন ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, আলোচনার মূল লক্ষ্যই ছিল অতিমারির মোকাবিলা ও টিকাকরণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement