জামিনের আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের অধ্যক্ষ কানহাইয়া কুমার। নিম্ন আদালতে হাজির হতে গিয়ে যেভাবে আক্রান্ত হতে হয়েছে কানহাইয়াকে, তাতে জামিনের আবেদনের শুনানি সেখানে নিরাপদ নয় বলে মনে করছেন কানহাইয়া। জেলেও তাঁর প্রাণ সংশয় রয়েছে বলে দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে জানিয়েছেন ছাত্র নেতার কৌঁসুলিরা।
সোলি সোরাবজি এবং রাজু রামচন্দ্রনের মতো দুই হেভিওয়েট আইনজীবী কানহাইয়া কুমারের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করবেন। পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে কানহাইয়া কুমারকে পেশ করা নিয়ে পর পর দু’দিন যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে, তার প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ আইনজীবীরা। আবেদনে তাঁরা বলেছেন, কানহাইয়া কুমারের মামলাকে ঘিরে নজিরবিহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সে কথা মাথায় রেখে তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানি সুপ্রিম কোর্টেই হোক।
আরও পড়ুন:
কানহাইয়া নিয়ে আসরে লালুরাও
পাতিয়ালা হাউজ কোর্ট ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর পর কানহাইয়াকে তিহার জেলে নিয়ে য়াওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা সেখানে অন্য আবাসিকদের হাতে কানহাইয়ার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করায়, ছাত্র নেতাকে সিসিটিভি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তবে পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে বুধবার কানহাইয়া কুমার যে আইনজীবীদের হাতে আক্রান্ত হন, তাঁদের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কানহাইয়া কুমারের কৌঁসুলিদের দাবি, ছাত্র নেতার উপর হামলায় অভিযুক্ত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ এফআইআর রুজু করতে চাইছে না।
অন্য দিকে, দিল্লির আদালত বৃহস্পতিবার জেএনইউ-এর অধ্যাপক এসএআর গিলানিকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে।