Delhi Blast

এ বার শাহিনের নাম সমিতি থেকে সরিয়ে দিল কানপুরের এক মেডিক্যাল কলেজ! আল-ফালাহ্‌ থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন চিকিৎসক

২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কালপুরের ওই কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রধানও ছিলেন শাহিন। কলেজের এক আধিকারিক জানান, দিল্লি পুলিশ এবং সন্ত্রাসদমন শাখার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ‘আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ’ করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:১৯
Share:

দিল্লি বিস্ফোরণের আগের দিন গ্রেফতার হন শাহিন সইদ। — ফাইল চিত্র।

দিল্লির বিস্ফোরণকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে আল ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক শাহিন সইদের। তার পরেই বিভাগীয় সমিতি থেকে তাঁর নাম অপসারণ করল কানপুরের গণেশ শঙ্কর বিদ্যার্থী স্মৃতি মেডিক্যাল (জিএসভিএম) কলেজ। কলেজের এক আধিকারিক শনিবার জানান, ফার্মাকোলজি বিভাগীয় সমিতি থেকে অপসারণ করা হয়েছে শাহিনকে। তিনি আল-ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক হলেও কানপুরের এই কলেজের সমিতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

Advertisement

২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কালপুরের ওই কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রধানও ছিলেন শাহিন। কলেজের এক আধিকারিক জানান, দিল্লি পুলিশ এবং সন্ত্রাসদমন শাখার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ‘আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ’ করা হয়েছে। যাতে কলেজের ভাবমূর্তিতে আঘাত না লাগে। প্রসঙ্গত, এটিএস এবং এনআইএ-র একটি দল শুক্রবারের পরে শনিবারও জিএসভিএম কলেজে যায়। সেখানে গিয়ে শাহিনের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে। শাহিন যে বিভাগে কাজ করতেন, তদন্তকারীরা সেখানকার নথিও খতিয়ে দেখেন বলে খবর।

দিল্লি বিস্ফোরণের আগের দিন অর্থাৎ ৯ নভেম্বর আল ফালহা্‌ থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহীন এবং আরও এক চিকিৎসক মুজ়াম্মিলকে। তদন্তকারীদের একটি সূত্রের দাবি, জইশ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও তাঁর যোগসূত্র উঠে এসেছে। আরও দাবি, শাহীনের পরিকল্পনা ছিল হামলা সফল হতেই দেশ ছেড়ে পালাবেন। ঘটনাচক্রে, দিল্লি বিস্ফোরণের সাত দিন আগে পাসপোর্ট যাচাই (ভেরিফিকেশন) করিয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, ফরিদাবাদ থেকে এক পুলিশকর্মী যাচাই করার কাজের জন্য আল ফালাহ্‌‌ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন গত ৩ নভেম্বর। দুবাইয়ে যাওয়ার জন্য পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন শাহীন। আর এখান থেকেই সন্দেহ করা হচ্ছে, হামলার পরিকল্পনা ঠিকমতো সফল হলেই দেশ ছেড়ে দুবাইয়ে পালাতেন শাহীন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement