রাহুল গাঁধী এবং মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। ফাইল চিত্র।
জোট নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কখনও-কখনও। কিন্তু ঘরের দ্বন্দ্বও কর্নাটকে ভাবাচ্ছে কংগ্রেসকে। ৩৪ সদস্যের মন্ত্রিসভায় কংগ্রেসের ২২ জন মন্ত্রী হবেন— মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর সঙ্গে বন্দোবস্ত হয়েছিল তেমনই। কিন্তু জোট সরকারের শপথের পরে দেড় মাস হতে চললেও মাত্র ১৬ জনকে মন্ত্রী করতে পেরেছে কংগ্রেস। ৬টি পদ এখনও ফাঁকা।
জানা যাচ্ছে, কর্নাটক কংগ্রেসের অন্দরের অসন্তোষই এর কারণ। উত্তর কর্নাটকে কংগ্রেস বেশি ভাল ফল করলেও মন্ত্রিসভা গড়ার সময়ে তা মাথায় রাখা হয়নি বলে দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের অভিযোগ। ‘কর্নাটক মন্ত্রিসভা গঠনের বর্তমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক একটি নোট তৈরি করে ফেলেছেন তাঁরা। তা উদ্ধৃত করে একটি চ্যানেল বলেছে, ‘‘উত্তর কর্নাটকে ৪১.৬৭ শতাংশ কেন্দ্রে জিতেছে কংগ্রেস, দক্ষিণ কর্নাটকে ৩৮.২০ শতাংশে। কিন্তু উত্তর কর্নাটক থেকে মন্ত্রী করা হয়েছে মাত্র ৮ জনকে, দক্ষিণ থেকে ১৮ জনকে। মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী, স্পিকার, পরিষদীয় দলনেতা, সবাই দক্ষিণের।’’
কংগ্রেসের ‘কোটা’ ভেঙে ‘বহিরাগত’দের মন্ত্রী করা নিয়ে অসন্তোষও রয়েছে ওই নোটে। বলা হয়েছে, কুরুবা সম্প্রদায়ের নির্দল বিধায়ক শঙ্করকে মন্ত্রী করার জন্য একই সম্প্রদায়ের ৮ কংগ্রেস বিধায়ককে বঞ্চিত করা হয়েছে।’’ লিঙ্গায়েত নেতা এম বি পাটিলের বদলে জনতা দল, বিজেপি হয়ে কংগ্রেসে আসা শিবানন্দ পাটিলকে মন্ত্রী করা নিয়েও রয়েছে অসন্তোষ। অভিজ্ঞতা, আনুগত্য, জাতি, এলাকার ভিত্তিতে মন্ত্রী হওয়ার ‘যোগ্য’ নেতাদের একটি তালিকাও তৈরি করেছেন বিক্ষুব্ধরা।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘বাসনে-বাসনে ঠোকাঠুকি লাগতেই পারে। কিন্তু রান্না সুস্বাদু হলে সকলের ভালই লাগবে।’’ এআইসিসি সূত্রের দাবি, বিক্ষুব্ধদের বিকল্প পদ বা দায়িত্ব দেওয়া যায় কি না, ভাবা হচ্ছে। সভাপতি রাহুল গাঁধী সবই জানেন। তাঁর নির্দেশ, দিল্লিতে দরবার করার বদলে কর্নাটকেই সমস্যা মেটাতে হবে। ইতিমধ্যে জেডি (এস) প্রধান এইচ ডি দেবগৌড়া আজ তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর)-এর সঙ্গে দেখা করেছেন। অ-কংগ্রেস, অ-বিজেপি ফেডারেল ফ্রন্ট গড়া নিয়ে এক সময়ে সক্রিয় হয়েছিলেন কেসিআর।