ত্রিশঙ্কু। কর্নাটকে সরকার গড়ার দৌড়ে বিজেপি-কেই এগিয়ে রাখল অধিকাংশ বুথ-ফেরত সমীক্ষা। রাজ্যের ২২৪টি আসনের মধ্যে আজ ভোট হয়েছে ২২২টিতে। সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজন ১১২ জন বিধায়ক। গণনা মঙ্গলবার।
এবিপি নিউজ এবং সি ভোটারের বুথ-ফেরত সমীক্ষা বলছে, বিজেপি সর্বনিম্ন ১০৪ এবং সর্বোচ্চ ১১৬টি আসন পেতে পারে। কংগ্রেস পেতে পারে ৮৩ থেকে ৯৪টি আসন। এবং জেডি (এস) ২০ থেকে ২৯টি।
এটা ঠিক যে বুথ-ফেরত সমীক্ষার হিসেব সব সময় মেলে না। অনেক বারই বাস্তব ফলের ইঙ্গিত দিতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। তবে জনমত যাচাইয়ের এই বিজ্ঞাননির্ভর পদ্ধতিকে পুরোপুরি উপেক্ষা করাও চলে না।
অন্যান্য বারের মতো এ বারও ফারাক রয়েছে বিভিন্ন সংস্থার করা বুথ-ফেরত সমীক্ষায়। যেমন, ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া-র সমীক্ষায় কংগ্রেসকেই দৌড়ে এগিয়ে রেখে ১১১টি আসন দেওয়া হয়েছে। তাদের মতে, বিজেপি-কে সন্তুষ্ট থাকতে হবে মাত্র ৮৫টি আসন নিয়ে। তেমনই টাইমস নাও-ভিএমআর এগিয়ে রাখছে কংগ্রেসকে।
শেষ পর্যন্ত যদি কর্নাটকের বিধানসভা সত্যি সত্যিই ত্রিশঙ্কু হয়, তা হলে ‘কিং-মেকার’-এর ভূমিকা নেবে দেবগৌড়ার দল জেডি (এস)। প্রকাশ্যে কংগ্রেস ও বিজেপি— দুই দলের নেতারাই অবশ্য দাবি করছেন, তার কোনও সম্ভাবনাই নেই। তাঁদের দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘‘আমি জয়ের ব্যাপারে আশ্বস্ত।’’
তবে ভিতরে ভিতরে দুই শিবিরই সমীক্ষার ফল দেখে উদ্বিগ্ন। কংগ্রেসের অনেকে বলছেন, স্থানীয় স্তরে দলের নেতার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া ছিল। রাহুল গাঁধীর প্রচারের জোরেই সেটা অনেকটা সামলানো সম্ভব হয়েছে। বিজেপি-ও বলতে শুরু করেছে, আগেভাগে ইয়েদুরাপ্পাকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে ফেঁসে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ। ইয়েদুরাপ্পা কোনও ছাপই ফেলতে পারেননি। যে কারণে অমিত শাহকে নিজের হাতে রাশ নিয়ে দলকে একজোট করতে হয়েছে। মোদীর ‘ক্যারিশমা’কে যতটা সম্ভব ব্যবহার করতে হয়েছে।
এই অবস্থায় মায়াবতী কংগ্রেসকে বলেছেন, মল্লিকার্জুন খড়্গেকে মুখ্যমন্ত্রী করলে দেবগৌড়াকে পাশে পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু সিদ্দারামাইয়া আজও স্পষ্ট জানিয়েছেন, তার প্রশ্নই নেই।