Eviction Programme

বেঙ্গালুরুতে উচ্ছেদ আটকাল হাইকোর্ট

সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর কারিয়াম্নানা আগ্রহরা, দেবরাবিসানাহাল্লি, কুন্ডলাহাল্লি, বেলান্দুর এলাকায় জোর করে বস্তির কয়েকশো ঘর ভেঙেছে বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা (বিবিএমপি) ও পুলিশ।

Advertisement

সং‌বাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২০ ০২:২৯
Share:

ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে বেঙ্গালুরুর পুলিশ ও পুরসভার উচ্ছেদ অভিযানে রাশ টানল কর্নাটক হাইকোর্ট। ওই উচ্ছেদ অভিযানে আজ অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি, কী কারণে, কোন আইনে বস্তির ঘরগুলি ভাঙা হয়েছে, তা নিয়ে পুলিশ ও পুরসভার থেকে বিস্তৃত রিপোর্ট চেয়েছে হাইকোর্ট।

Advertisement

সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর কারিয়াম্নানা আগ্রহরা, দেবরাবিসানাহাল্লি, কুন্ডলাহাল্লি, বেলান্দুর এলাকায় জোর করে বস্তির কয়েকশো ঘর ভেঙেছে বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা (বিবিএমপি) ও পুলিশ।
প্রশাসনের দাবি, ওই বস্তিগুলিতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা বসবাস করছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, বাংলাদেশি উচ্ছেদের নামে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে বেঙ্গালুরুতে কাজ করতে আসা কয়েক হাজার শ্রমিককে ঘরছাড়া করা হয়েছে। তাঁরা নিজেদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে দাবি করে পরিচয়পত্র দেখাতে চাইলেও তাতে আগ্রহ দেখায়নি বেঙ্গালুরুর পুলিশ। কারণ, পুলিশকর্তারা যুক্তি দিচ্ছেন, পরিচয়পত্রের তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে টাকা খরচ করে পশ্চিমবঙ্গে যাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। বরং তাঁদের অভিযোগ, অতীতে এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের থেকে তারা সহযোগিতাও পাননি।

এই পরিস্থিতিতে পুলিশ ও পুরসভার উচ্ছেদ অভিযানকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। বুধবার আদালতের রায়ে ভিন্‌ রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের সাময়িক স্বস্তি মিলেছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন