এইচওয়াই মেতি
ফের অস্বস্তির মুখে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার। যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযোগ ওঠায় বুধবার ইস্তফা দিলেন কর্নাটকের আবগারিমন্ত্রী এইচওয়াই মেতি। মাত্র চার মাস আগেই ক্যাবিনেট মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। যদিও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেতি। রাজ্য সরকারের অস্বস্তি এড়াতেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন বলে দাবি মেতির। মেতির আরও দাবি, চক্রান্ত করেই তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। গোটা ঘটনার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সিদ্দারামাইয়া।
স্থানীয় কন্নড় টেলিভিশনে বুধবার একটি ভিডিও সম্প্রচারের পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই ভিডিওতে এক মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গিয়েছে ৭১ বছরের মন্ত্রীকে। আদতে তিরিশ মিনিটের ভিডিওটির তিরিশ সেকেন্ডের একটি অংশ এ দিন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়। ভিডিওতে ওই মহিলাকে দেখা না গেলেও কংগ্রেসের প্রবীণ মন্ত্রীর পরিচিত চশমা দেখা গিয়েছে। অভিযোগ, মন্ত্রীর কাছে সাহায্যপ্রার্থী হিসাবে এসেছিলেন ওই মহিলা।
আরও পড়ুন
স্কুল না গিয়ে ক্যাফেতে পর্নোগ্রাফি! হাতেনাতে পাকড়াও ৬৫ পড়ুয়া
আরটিআই কর্মী রাজাশেখর মুলালি ওই ভিডিওটি প্রকাশ্যে আনার পর অভিযোগ করেন, মেতির সমর্থকেরা তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন। ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পরই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দেন মেতি। প্রশাসন সূত্রে খবর, মেতির ইস্তফা গ্রহণ করে তা রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহেই অশ্লীল ছবি দেখার দায়ে ক্যামেরাবন্দি হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষামন্ত্রী তানভির সাইত। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ফের এক হেভিওয়েট মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কেচ্ছার অভিযোগ ওঠায় রীতিমতো অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। যদিও সিদ্দারামাইয়ার মন্তব্য, “সিআইডি তদন্তে তনভীর নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে।” রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌন কেচ্ছার অভিযোগ ওঠার পরও অনড় সিদ্দারামাইয়া। তিনি বলেন, “এই ভিডিও সিডির মাধ্যমে মেতি দোষী এটা প্রমাণিত হয় না। বরং নৈতিক দায়েই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন।” মুখ্যমন্ত্রীর মতোই মেতির সমর্থনে মুখ খুলেছেন রাজ্যের অন্য মন্ত্রীরাও।