রাতের বেলা গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিতেন অধ্যাপক। প্রতীকী ছবি।
তিনি শিক্ষক। দিনের বেলা ছাত্র পড়ান। আর রাতের বেলা গাড়িতে আগুন লাগিয়ে মজা পান।
স্বচ্ছল পরিবারের এবং উচ্চশিক্ষিত এক যুবকের এ হেন আচরণ দেখে হতবাক পুলিশ। বিস্মিত পাড়া পড়শিও।
পুলিশ জানিয়েছে, অমিত গায়েকোয়াড় নামে বছর সাঁইত্রিশের ওই যুবক কর্নাটকের কালাবুরাগি জেলার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি বেলাগাভির সদাশিবনগরে থাকেন। বেলাগাভি ইনস্টিটিউট অব মেডিকাল সায়েন্স (বিআইএমএস) কলেজের প্যাথোলজি বিভাগে সহ-অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন অমিত।
একটি সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে ২০টি গাড়ি জ্বালিয়েছেন অমিত। আর সবকটি ঘটনাই ঘটেছে কালাবুরাগি এবং বেলাগাভির আশপাশেই। পুলিশ জানিয়েছে, জানুয়ারি ১৩, ১৪ এবং ১৫ তারিখে কালাবুরাগিতে ন’টির বেশি গাড়িতে আগুন লাগিয়েছিলেন তিনি। ১৭ তারিখ রাতে বেলাগাভির যাদবনগরে একসঙ্গে সাতটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেন। গত বুধবার রাতে, ফের একটি গাড়িতে আগুন লাগাতে গিয়েছিলেন অমিত। সেই সময় পুলিশ তাঁকে ধরে ফেলে।
আরও পড়ুন:
সীমান্তে ফের গুলি পাক রেঞ্জার্সের, নিহত এক মহিলা-সহ দু’জন
ফাঁস দিয়ে খুন করে ছেলের দেহ পোড়াল মা!
কী ভাবে সামনে এল এই ঘটনা? পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ জমা হচ্ছিল বহুদিন ধরেই। তক্কে তক্কে ছিল পুলিশ। কিন্তু কী ভাবে গাড়িতে আগুন লাগছে তার সঠিক কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। গত বুধবার রাতে, টহল দেওয়ার সময় মাথায় হেলমেট পড়ে একজনকে গাড়িতে উঠতে দেখে সন্দেহ হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সেই সময় গাড়িটিতে আগুন লাগাতে যাচ্ছিলেন অমিত। ঠিক সময় তাঁকে ধরে ফেলা হয়। তবে জেরার তিনি কিছুই বলেননি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
কী ভাবে ওই কাণ্ড ঘটাতেন তিনি? তদন্তকারী এক অফিসারের কথায়, খুবই চতুরতার সঙ্গে ওই কাজ করতেন তিনি। রাত তিনটে থেকে চারটের মধ্যে বাড়ি থেকে বার হতেন। রাস্তার সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে নিজেকে আড়াল করতে মাথা ঢাকা জ্যাকেট গলিয়ে নিতেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, মানসিক অসুস্থতা থেকেই ওই কাজ করতেন অমিত।