National news

খালি পায়ে দৌড়ে উসেইন বোল্টের রেকর্ডও ভেঙে ফেললেন কর্নাটকের এই যুবক!

অবাক লাগছে তো! ২৮ বছরের যুবক শ্রীনিবাস নিজেও অবাক হয়েছিলেন, যখন জানতে পারলেন তিনি উসেইন বোল্টের রেকর্ডও ভেঙে ফেলেছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৭:০৮
Share:

পালিত মোষের সঙ্গে দৌড়চ্ছেন শ্রীনিবাস গৌড়া।

বিশ্বের দ্রুতগামী মানুষ কে? উত্তর অবশ্যই উসেইন বোল্ট। আর যদি বলি, ভুল বলছেন। যদি বলি, উত্তরটা কর্নাটকের মুদাবিদরি নামে এক প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে শ্রীনিবাস গৌড়া!

Advertisement

অবাক লাগছে তো! ২৮ বছরের যুবক শ্রীনিবাস নিজেও অবাক হয়েছিলেন, যখন জানতে পারলেন তিনি উসেইন বোল্টের রেকর্ডও ভেঙে ফেলেছেন। শ্রীনিবাসের ওই সাফল্যের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অবাক হয়েছে সারা ভারত।

শ্রীনিবাস গৌড়া কোনও বিশ্ব প্রতিযোগিতায় দৌড়ে এই সাফল্য পাননি যদিও। তিনি কাদামাখা জমিতে, খালি পায়ে দৌড়ে এই রেকর্ড গড়েছেন। কর্নাটকের কাম্বালা উৎসবে তাঁর পালিত মোষের সঙ্গে দৌড়ে এই রেকর্ড করেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: ওমর কেন বন্দি? কাশ্মীর প্রশাসনকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের

অনেকটা তামিলনাড়ুর জাল্লিকাট্টুর মতো কাম্বালা উৎসবের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মোষ। নভেম্বর আর মার্চ মাসের মধ্যে শস্যখেতের ভিতর দিয়ে মোষকে দৌড় করানোর উৎসব এই কাম্বালা। সঙ্গে দৌড়য় তাদের মালিক। বৃহস্পতিবার পালিত মোষের সঙ্গে টানা ১৪২.৫ মিটার মাত্র ১৩.৬২ সেকেন্ডে পার করে ফেলেন শ্রীনিবাস। তাঁর গতি দেখে অবাক হয়ে যান উপস্থিত সকলেই। সঙ্গে সঙ্গেই উসেইন বোল্টের সঙ্গে তাঁর গতির তুলনা করা শুরু হয়।

আরও পড়ুন: নির্ভয়া-কাণ্ড: সুপ্রিম কোর্টে বিনয়ের আর্জি খারিজ

উসেইন বোল্ট মাত্র ৯.৫৮ সেকেন্ডে ১০০ মিটার স্প্রিন্ট সম্পূর্ণ করেছিলেন। এটাই এখনও পর্যন্ত ১০০ মিটার স্প্রিন্টের রেকর্ড। এর চেয়ে কম সময়ে কেউ তা সম্পূর্ণ করতে পারেননি। আর ওই ১০০ মিটার যেতে শ্রীনিবাস কত সময় নিয়েছেন? হিসাব কষে দেখা গিয়েছে, তা ৯.৫৫ সেকেন্ডে সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন তিনি। অর্থাৎ বোল্টের থেকে ০.০৩ সেকেন্ড সময় কম নিয়েছেন।

শ্রীনিবাস গৌড়া।

এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই রাতারাতি ইন্টারনেট সেনসেশন হয়ে ওঠেন শ্রীনিবাস। ফেসবুক এবং টুইটারে তাঁর সাফল্যের কথা ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ কেউ তো তাঁকে অলিম্পিকের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরামর্শও দেন। আর শ্রীনিবাস বলছেন, “আমি কাম্বালা ভালবাসি। আমার সাফল্য আমার দুই পালিত মোষের। তারা খুব ভাল দৌড়েছে।”

পশুদের উপরে নির্মম অত্যাচার করা হয় বলে এই উৎসব বন্ধ করার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিল পেটা। কিন্তু ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে কর্নাটকের এই ঐতিহ্যবাহীউৎসবে ছাড়পত্র দেয় আদালত।

ছবি: টুইটার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন