ছাদ থেকে ঝুলছেন এক ব্যক্তি। দিল্লির করোলবাগের হোটেলে। ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
দিল্লির করোলবাগে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন। ঘটনার পর পাঁচ দিনে পেরিয়ে গিয়েছে। এর পর শনিবার অর্পিত প্যালেস হোটেলের মালিককে দিল্লির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই হোটেলের মালিক রাকেশ গয়াল কাতার থেকে ইন্ডিগোর ফ্লাইট ৬ই১৭০২-এ দিল্লি এসে পৌঁছবেন, এই খবর ছিল দিল্লির পুলিশ অফিসারদের কাছে। সেই মতোই গায়ালকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিসিপি (অপরাধদমন শাখা) রাজেশ দেও বলেন, রবিবার আদালতে তোলা হয়েছে গয়ালকে।
বৃহস্পতিবারই রাকেশ ও তাঁর ভাই শরদিন্দু গয়ালের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছিল। দিল্লির পূর্তমন্ত্রী সতেন্দ্র জৈন বলেন, ‘‘পাঁচতলা পর্যন্ত হোটেলের অনুমোদন ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বেআইনি ভাবে ছাদে রান্নাঘর বানিয়েছেন।যা চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার প্রমাণ।এই গাফিলতির জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
আরও পড়ুন: জম্মু কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিরাপত্তা তুলে নিল সরকার, তালিকায় নেই গিলানি
বেআইনি নির্মাণ ছাড়াও ‘ফায়ার এক্সিট’ বন্ধ ছিল এবং ‘ফায়ার অ্যালার্ম’-এর সমস্যাও ছিল এই হোটেলে। বিশেষ করে আপৎকালীন দরজাও ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। দিল্লির দমকল কর্তা বিপিন কেনতাল জানিয়েছেন, ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ আগুন লাগার খবর আসে। দমকল পৌঁছনোর আগে অনেকটাই ছড়িয়ে পড়ে আগুন।
আরও পড়ুন: পোখরানে ১৪০টি ফাইটার জেট, ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে বিশাল মহড়া বায়ুসেনার
পাঁচতলা থেকে আগুন ক্রমশ দোতলায় চলে আসে। ফলে ভিতরে ঢুকে উদ্ধার করতে খুব সমস্যায় পড়তে হয় দমকলকর্মীদের। সময় মতো দমকল কর্মীদের খবর দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করে দিল্লির দমকল বিভাগ (ডিএফএস)।
দিল্লির ডিসিপি মনদীপ সিংহ রণধাওয়া বলেন, হোটেল ম্যানেজমেন্টের সমস্যাই আগুন লাগার একটা অন্যতম কারণ।