-সংবাদ সংস্থা।
উরির মতো আরও হামলা যে হতে পারে, তা নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন গোয়েন্দারা। কিন্তু নাগরোটা নিয়ে আলাদা করে কোনও সতর্কবার্তা ছিল না বলেই আজ দাবি করেছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্তা জানিয়েছেন, ভারতীয় বাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর থেকেই গোয়েন্দারা জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন সেনা ছাউনিকে সতর্ক করেছেন। কিন্তু জম্মু-শ্রীনগর সড়কের উপর অবস্থিত নাগরোটা নিয়ে আলাদা করে কোনও সতর্কবার্তা আসেনি বলেই দাবি করেছে সেনা। বিএসএফ তরফে আজ আবার জানানো হয়েছে, সাম্বায় যে জঙ্গিরা তাদের গুলিতে মারা গিয়েছে, জম্মুর ট্রেনে হামলা চালানোর ছক কষেছিল তারা। ওড়ানোর পরিকল্পনা ছিল বিভিন্ন রেললাইনও। নিহত জঙ্গিদের থেকে উদ্ধার হওয়া প্রচুর আইইডি থেকেই এমন ধারণা করেছেন গোয়েন্দারা।
বিএসএফ আজ আরও জানিয়েছে, তাদের বাহিনী জঙ্গিদের মোকাবিলা না করতে পারলে বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারত, যাতে অনেক সাধারণ মানুষের প্রাণহানির সম্ভাবনা ছিল। গোয়েন্দাদের প্যাঁচে ফেলতে এ বার এক ধরনের তরল বিস্ফোরক জঙ্গিরা সঙ্গে এনেছিল যেটা সহজে ধরা পড়ে না। তাদের সঙ্গে ছিল চেন আইইডি-ও। যা রেল লাইন ওড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হয়।
গোয়েন্দাদের একাংশের আরও ধারণা, প্রায় আশি মিটার একটি সুড়ঙ্গ পথ পেরিয়ে জম্মুতে ঢুকেছিল জঙ্গিরা। তবে নাগরোটার সঙ্গে সাম্বার ঘটনার যোগ নেই বলেই প্রাথমিক তদন্তের পরে দাবি করেছেন গোয়েন্দারা।
এ দিকে, নাগরোটার হামলার পরে গোটা একটা দিন কেটে গেলেও জঙ্গিরা কোথা থেকে এসেছিল, তা নিয়েও সরকারি ভাবে মুখ খোলেননি সেনার কেউ। তবে সেনার একটি অসমর্থিত সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, সাম্বায় নিহত জঙ্গিদের থেকে উদ্ধার হওয়া কিছু ওষুধ ও বিস্কুটের প্যাকেট থেকে এটা পরিষ্কার যে, তারা পাকিস্তান থেকেই বেড়া ডিঙিয়ে এ দেশে এসেছিল। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কিছু চিরকুট দেখে গোয়েন্দাদের আরও ধারণা, আফজল গুরুর মৃত্যুর বদলা নিতেই হামলার পরিকল্পনা করে তারা। আজও পাক গুলিতে এক ভারতীয় সেনা আহত হন বলে সেনা সূত্রের খবর।