বিবেকের ডাকে ইস্তফা কাশ্মীরি পুলিশের

ওই যুবক ভিডিওতে বলেছেন, সাত বছর ধরে তিনি কনস্টেবল পদে কাজ করেছেন। জনগণের সেবার শপথ নিয়ে কাজে ঢুকেছিলেন। নিজের দরিদ্র পরিবারের প্রতি কর্তব্য পালন করতে চেয়েছিলেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:০৫
Share:

ফাইল চিত্র।

বিবেকের দংশন সহ্য করতে না পেরে ইস্তফা দিলেন জম্মু-কাশ্মীরের এক পুলিশকর্মী। অন্তত ভাইরাল হওয়া এক ভিডিও-বার্তায় তেমনই দাবি করেছেন তিনি। নিজের পরিচয় দিয়েছেন ‘রইস’ বলে। ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

ওই যুবক ভিডিওতে বলেছেন, সাত বছর ধরে তিনি কনস্টেবল পদে কাজ করেছেন। জনগণের সেবার শপথ নিয়ে কাজে ঢুকেছিলেন। নিজের দরিদ্র পরিবারের প্রতি কর্তব্য পালন করতে চেয়েছিলেন। তাঁর কাছে সেটাই ছিল প্রকৃত ‘জেহাদ’। কিন্তু সম্প্রতি ভূস্বর্গের যে রক্তাক্ত চেহারা তিনি দেখছেন, তাতে নিজের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে তাঁর মনে। রইসের দাবি, ‘‘নিজের বিবেককে রোজ একটু করে মরতে দেখতে পারছি না আর।’’

গত বছর হিজবুল কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকে লাগাতার অশান্তি চলছে কাশ্মীরে। সেনা-পুলিশের ছোড়া ছররায় যে ভাবে গত বছরে যুবসমাজের একটা বড় অংশ জখম হয়েছিলেন, অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন, তা নিয়ে বিশ্ব জুড়ে আলোড়ন উঠেছিল। সেই প্রেক্ষিতেই রইসের বয়ান, ‘‘প্রতিদিন কাশ্মীরিদের মৃত্যু হচ্ছে। কেউ চোখ হারাচ্ছেন। কাউকে জেলে পোরা হচ্ছে। কাউকে গৃহবন্দি করা হচ্ছে। প্রতি মুহূর্তে আমার বিবেক আমাকে প্রশ্ন করছে, এক জন পুলিশ হিসেবে আমি ঠিক করছি না ভুল করছি। এই দংশন সহ্য করতে পারছি না। তাই ইস্তফা।’’

Advertisement

রইসের বক্তব্য, পাকিস্তানকে তিনি ভালবাসেন না। ভারতকেও তিনি ঘৃণা করেন না। কিন্তু কাশ্মীরকে তিনি ভালবাসেন। চাকরি ছেড়ে তিনি কী করবেন? রইসের কথায়, পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর জন্য আমি আরও কঠোর পরিশ্রম করব। আমি সব কিছু করতে পারি, কিন্তু বিবেকের ডাক অস্বীকার করতে পারি না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement