ফের হুঙ্কার দিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। গত কাল বলেছিলেন, দুর্নীতি প্রশ্নে আঁতাঁত রয়েছে নরেন্দ্র মোদী ও সনিয়া গাঁধীর। আর তাই তাঁরা একে অপরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন না। আজ আরও এক ধাপ সুর চড়িয়ে বলেছেন, গাঁধী পরিবারের কাছে নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে গোপন তথ্য রয়েছে।
কপ্টার কাণ্ডে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে সনিয়া ও রাহুল গাঁধীকে একঘরে করে ফায়দা তুলতে চাইছে বিজেপি। সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিতেই সক্রিয় হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। বোঝাতে চেয়েছেন দুর্নীতি প্রশ্নে দু’টি দলই এক অপরের দোসর। রাজনীতিকদের মতে, দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনেরই ফসল আম আদমি পার্টি। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ফায়দা অন্য কাউকে দিতে রাজি নন কেজরীবাল।
কপ্টার কাণ্ডে যখন সংসদ উত্তাল তখন জাতীয় রাজনীতিতে নিজের প্রাসঙ্গিকতা বোঝাতে গত কাল রাস্তায় নামেন কেজরীবাল। একযোগে আক্রমণ করেন দু’দলকে। দাবি করেন, সনিয়া গাঁধীকে ভয় করেন নরেন্দ্র মোদী। তাই দু’বছরে ঘুষের তদন্ত এগোয়নি। আর আজ সেই ভয়ের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন কেজরীবাল নিজেই। টুইট করে তিনি বলেন, মোদীর সম্পর্কে অনেক গোপন তথ্য রয়েছে গাঁধী পরিবারের কাছে। তাই ওই পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন না নরেন্দ্র মোদী।
প্রকাশ্যে কেজরীবালের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে না চাইলেও এখন কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে বিজেপি শিবির। দল জানে কপ্টার কাণ্ডে গাঁধী পরিবারের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠলেও তা প্রমাণ করা সময়সাপেক্ষ। তদন্তের প্রয়োজনে দরকার অন্য রাষ্ট্র ও বিদেশি ব্যাঙ্কের সাহায্য। শেষ পর্যন্ত তা কতটা পাওয়া যাবে তা নিয়ে সন্দেহে রয়েছেন খোদ তদন্তকারীরাই। আর তা বুঝতে পেরেই মোদী তথা বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের সঙ্গে গোপন আঁতাঁতের অভিযোগ এনে আক্রমণ শানাতে শুরু করেছেন তিনি। আপ সূত্রের খবর, আগামী দিনে এ বিষয়ে ফের দিল্লিতে জনসভা করে দু’দলের স্বরূপ জনতার সামনে তুলে ধরবেন কেজরীবাল। গত কালের ধাঁচেই আজ এ বিষয়ে দিল্লি বিজেপির সভাপতি সতীশ উপাধ্যায় বলেন, ‘‘কেজরীবাল ক্ষমতায় এসে শীলা দীক্ষিত, সনিয়া ও রবার্ট বঢরার মুখোশ খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তা কিন্তু আজও করে দেখাতে পারেননি তিনি।’’