রাজ্যে ‘লভ জেহাদ’ নিয়ে এনআইএ তদন্তের কোনও প্রয়োজন নেই বলে সাফ জানিয়ে দিল কেরল সরকার।
কেরলে এক মুসলিম মহিলাকে জোর করে বিয়ে করা এবং তাঁর ধর্ম পরিবর্তনের যে অভিযোগ উঠেছিল, সেই প্রসঙ্গে গত অগস্ট মাসে জাতীয় তদন্তকারী দল (এনআইএ)-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে বেনজির পদক্ষেপ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।
তখন আপত্তি না জানালেও তার প্রায় দু’মাসের মাথায় মত বদলে পিনারাই বিজয়ন সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে দিল, এ বিষয়ে এনআইএ-র হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজন নেই। রাজ্য পুলিশই যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই এর তদন্ত করছে।
গত ডিসেম্বরের ঘটনা। অখিলা অশোকন নামে এক হোমিওপ্যাথি ডাক্তার মুসলিম ধর্মগ্রহণ করেছিলেন। নাম নিয়েছিলেন হাদিয়া। বিয়ে করেছিলেন দক্ষিণ কেরলের কোল্লামের মুসলিম যুবক শাফিন জাহানকে।
কিন্তু এই বিয়ে মানেননি অখিলার বাবা অশোকন। তিনি কেরালা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়েকে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করানো হয়েছে। সেই সঙ্গে অশোকনের আরও দাবি, তাঁর মেয়েকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগ দিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় পাঠানো হবে।
চলতি বছর মে মাসে কেরালা হাইকোর্ট ওই বিয়ে নাকচ করে দেয়। তার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অখিলার স্বামী। তার পর অগস্টে হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। তখন কেরল সরকার জানিয়েছিল, এনআইএ-র তদন্তে তাদের কোনও রকম আপত্তি নেই।
কিন্তু কেরল সরকার আজ জানাল, রাজ্য পুলিশ দক্ষতার সঙ্গেই এই তদন্ত করছে। আর পুলিশ যত দূর তদন্ত করেছে, তাতে এই ঘটনায় এমন কোনও অপরাধের কথা জানা যায়নি যার তদন্তভার কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে দিতে হবে।