সেই হাদিয়া। ছবি-সংগৃহীত।
তিনি মুসলিম। নিজের ইচ্ছায় মুসলিম হয়েছেন। কেউ তাঁকে বাধ্য করেননি মুসলিম হতে। তিনি স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চান।
শনিবার কোচি বিমানবন্দরে এ কথা বললেন হাদিয়া। যাঁকে ঘিরে ‘লভ জিহাদ’ বিতর্কে আপাতত তোলপাড় কেরল, সেই হাদিয়া এ দিন গেলেন দিল্লিতে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে তাঁর মামলার শুনানি। আদালতে হাজিরার জন্যই কড়া পুলিশ পাহারায় দিল্লি নিয়ে যাওয়া হল হাদিয়াকে। সঙ্গে গেলেন তাঁর মা, বাবাও। হাদিয়ার বক্তব্য শুনতে চায় শীর্ষ আদালত।
গত শুক্রবার হাদিয়ার স্বামী শাফিন জাহান অভিযোগ করেন, হাদিয়াকে এখন হিন্দু বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। গত বছর শাফিনকে বিয়ে করার সময় হাদিয়ার বয়স ছিল ২৪। নামও ছিল আকিলা অশোকান।
আরও পড়ুন- কট্টরদের বিক্ষোভে জ্বলছে পাকিস্তান, মিডিয়া ব্ল্যাক আউট
আরও পড়ুন- চুম্বনের ভিডিও: মালিয়া ওবামার পাশে ইভাঙ্কা থেকে চেলসি
তার পরেই হাদিয়ার বাবা কেরল হাইকোর্টে একটি মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, জঙ্গিরাই চক্রান্ত করে তাঁর কন্যা আকিলার (এখন হাদিয়া) ধর্মান্তকরণ ঘটিয়েছে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) এখন তার তদন্ত করছে।
হাইকোর্ট হাদিয়ার বিয়ে বাতিলের নির্দেশ দেয়। যাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান হাদিয়ার স্বামী শাফিন। শীর্ষ আদালতে হাদিয়ার স্বামী জানান, বিয়ের দু’বছর আগেই স্বেচ্ছায় মুসলিম হয়েছিলেন হাদিয়া। তাঁকে মুসলিম হতে কেউ বাধ্য করেননি।