রাহুল গাঁধীর লন্ডনের সভা শুরুর আগে সেই প্রেক্ষাগৃহে ঢুকে ‘খলিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিলেন কয়েক জন বিক্ষোভকারী। ইন্ডিয়ান ওভারসিজ় কংগ্রেসের ওই সভায় রাহুল অবশ্য তখনও এসে পৌঁছননি। তিন জনকে বাইরে নিয়ে যায় পুলিশ।
ক’দিন আগেই খলিস্তানপন্থী শিখদের বিক্ষোভ হয়েছিল লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ারে। তার পরে পশ্চিম লন্ডনের রাইস্লিপের সভাগৃহে ঘটল এই ঘটনা। গত শুক্রবার লন্ডনে রাহুল বলেন, ‘‘১৯৮৪ সালের শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় কংগ্রেস জড়িত ছিল না।’’ এর পরেই তাঁর সমালোচনায় নেমেছিল বিজেপি। শিরোমণি অকালি দলের প্রধান সুখবীর সিংহ বাদল বলেছিলেন, ‘‘শিখদের ক্ষতে নুন ছড়িয়েছেন রাহুল।’’ আজ তার পাল্টা কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘কংগ্রেস অন্তত হাজার বার ওই ঘটনার নিন্দা করেছে, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা চেয়েছেন, অনেক নেতার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হয়েছে, কেউ কেউ দোষী সাব্যস্তও হয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেস কখনও নাক গলায়নি।’’ সিঙ্ঘভির দাবি, কংগ্রেস যেটুকু করেছে, গুজরাতের দাঙ্গার পরে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ তা করেছিলেন কি না, জিজ্ঞাসা করুক অকালি দল।
রাহুলের সমর্থনে মুখ খুলে পঞ্জাবের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘গণহত্যায় জড়িতদের ফাঁসি হওয়া উচিত। কিন্তু কংগ্রেস কখনওই এর সঙ্গে জড়িত ছিল না। কয়েক জনের জন্য গোটা দলকে দায়ী করে রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন সুখবীর।’’ অমরেন্দ্রর দাবি, ১৯৮৪-র দাঙ্গা নিয়ে অতীতে রাহুল নিজেই কয়েক জন কংগ্রেসির নাম করেছিলেন।