— প্রতীকী ছবি।
বেশ কয়েক বার বলা সত্ত্বেও গাড়ির পিছনের জানলার কালো কাচ নামাতে চাইছিলেন না যাত্রীরা। পুলিশকর্মীরা শেষে জোর করেন। কাচ নামাতে দেখা গেল, পিছনের আসনে দুই তরুণী এবং এক তরুণ। এক তরুণীর মুখ বাঁধা। শোনা গেল তাঁর গোঙানি, ‘হেল্প হেল্প!’
দেড় হাজার কিলোমিটার নির্বিঘ্নে পার হয়ে শেষে গত শনিবার পশ্চিমবঙ্গ-অসম সীমানায় আলিপুরদুয়ারের বারোবিশার পাখরিগুড়িতে এসে ভেস্তে গেল এক তরুণীকে অপহরণের পরিকল্পনা। গাড়ি থেকে রোশন আহমেদ, ইউসুফ ওরফে সমীর শেখ এবং তনবীর শেখ নামে তিন যুবক এবং শাহবানু বা খুশবু চৌধুরি নামে এক তরুণীকে গ্রেফতার করেছে আলিপুরদুয়ারের পুলিশ। জেরা করে জানা গিয়েছে, তাঁরা সকলেই অসমের বাসিন্দা। তবে কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকেন। যাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল, তাঁর প্রতি রোশন দুর্বল ছিলেন। বছরখানেক আগে দু’জনে বেঙ্গালুরুতে একই সংস্থায় কাজ করতেন। মাস তিনেক আগে ওই তরুণী গুরুগ্রামের একটি সংস্থায় যোগ দেন। রোশনের দাবি, এর পর থেকে ওই তরুণী আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন না। তখন তাঁকে অপহরণের ছক কষেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লির এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সেডান গাড়িটি কেনেন রোশন। যদিও গাড়ির কোনও নথি তিনি দেখাতে পারেননি। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে দলে এক তরুণীকে রাখা হয়। পরিকল্পনা মতো চার জনে মিলে বৃহস্পতিবার রাতে অপহৃত তরুণীর অফিসের বাইরে পৌঁছে যান। ন’টা নাগাদ তরুণী অফিস থেকে বার হতেই তাঁকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়। ধৃতদের দাবি, তাঁদের গন্তব্য ছিল অসমের হাইলাকান্দিতে রোশনের বাড়ি।
ওই তরুণীকে অপহরণের ঘটনায় শুক্রবার একটি মামলা রুজু করেছে গুরুগ্রাম পুলিশ। আজ, মঙ্গলবার সেখানকার পুলিশের একটি দলের আলিপুরদুয়ারে আসার কথা। জেলার পুলিশ সুপার সুনীল যাদব বলেন, ‘‘ধৃত চার জনকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। গাড়ির চালক পলাতক।’’