শহীদ দিবসের বার্তায় কেএলও দাবি করল, কামতাপুর কোনও সময়েই ভারতের অংশ ছিল না। ইংরেজ আমলেও স্বাধীন অস্তিত্ব বজায় রাখা কামতাপুরকে জোর করে দখল করেছিল ভারত। তাই ভারতের হাত থেকে কামতাপুর ছিনিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত চলবে কেএলওর সশস্ত্র লড়াই। কেএলও চেয়ারম্যান জীবন সিংহের এই ঘোষণায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
দীর্ঘদিন কেএলওর দিক থেকে কোনও বিবৃতি আসছিল না। তবে জীবন সিংহ যে আলফা ও খাপলাংয়ের আশ্রয়ে আছেন তা নিয়ে নিশ্চিত ছিল অসম ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ বারের বিবৃতিতে শুধু বার্তা দেওয়াই নয়, একই সঙ্গে ইউএনএলএফডব্লু যৌথ মঞ্চের অনেক শীর্ষ নেতার ছবিও প্রকাশ করল কেএলও। পুলিশের কাছেও যা গুরুত্বপূর্ণ।
কেএলওর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯৪৮ সালের ২৮ অগস্ট কোচ রাজা জগৎদীপেন্দ্র নারায়ণ ভূপ বাহাদুরের কাছ থেকে জোর করে কামতাপুর কেড়ে নিয়ে ‘কোচ-বিহার মার্জার এগ্রিমেন্ট’ সই করিয়ে নেয় ভারত সরকার। ১৯৫০ সালে কোচবিহারকে অসম ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ভাগ করে কোচদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। তারপর থেকে সব কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার কোচ ভাষা ও সংস্কৃতি ধ্বংস করে, কোচদের সম্পদ শোষণ করে চলেছে। ক্রমাগত অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়েছে কোচ বসতিতে। ফলে ভূমিপু্ত্ররা আজ দরিদ্র ও কোণঠাসা। কারখানা বা সেনা ছাউনি গড়ার অজুহাতে কোচদের জমি কাড়া হয়েছে। কোচদের অধিকার ও স্বাধীনতা ফেরাতে কেএলওর সশস্ত্র সংগ্রাম চলবে বলে জীবন
সিংহের দাবি।
এ দিন মায়ানমারের কোনও অজ্ঞাত স্থানের যৌথ শিবিরে শহীদ দিবস পালনের ভিডিও ও স্থিরচিত্রে দেখা গিয়েছে খাপলাং বাহিনীর সেনাধ্যক্ষ জেনারেল কুমচোক, সহ-সেনাধ্যক্ষ জেনারেল নিকি সুমি, পিডিসিকের সভাপতি জে কে লিজাং, সংগ্রামপন্থী এনডিএফবির চেয়ারম্যান বি সাওরাইগাওরা ও সাধারণ সম্পাদক বি আর ফেরেঙ্গা, এনএলএফটি সাংগঠনিক সম্পাদক সুচিন বরোক, কেওয়াইকেএলের ক্যাপ্টেন লিটপা মেইতেই, কেসিপির ক্যাপটেন মণি মেইতেই-সহ অনেক শীর্ষ নেতাকে। পুলিশের বক্তব্য, উত্তর-পূর্বের জঙ্গিদের যৌথমঞ্চ গড়ার পরে নেতাদের এমন গ্রুপ ছবি আগে সামনে আসেনি। জঙ্গিদের ঐক্য প্রমাণেই ছবিগুলি প্রকাশ করা হয়েছে। কেএলও জঙ্গিদের হাতে দেখা গিয়েছে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রও।