KLO

KLO-NLFT: ‘কেএলও অস্ত্র দিচ্ছে এনএলএফটি-কে’

সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার কচুয়াতলিতে এনএলএফটি শিবিরে গিয়েছিল কেএলও-র সাত জনের একটি দল।

Advertisement

বাপী রায়চৌধুরী

আগরতলা শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২২ ০৭:২৪
Share:

ফাইল চিত্র।

কেএলও প্রধান জীবন সিংহের সঙ্গে শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে ভারত। এরই মধ্যে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর-পূর্বের অন্য এক জঙ্গি গোষ্ঠী এনএলএফটি-র সঙ্গে তলায় তলায় যোগাযোগ তৈরি করছে কেএলও। উদ্দেশ্য, তাদের হাতে যে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র রয়েছে, তার বড় অংশ এনএনএফটি-র কাছে জমা রাখা।

Advertisement

সম্প্রতি একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার কচুয়াতলিতে এনএলএফটি শিবিরে গিয়েছিল কেএলও-র সাত জনের একটি দল। রাজ্যে কর্মরত আধাসামরিক বাহিনীর এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, ওই শিবিরে বেশ কয়েক দিন ছিল কেএলও-র দলটি। সেখানে তারা এনএলএফটি-র কাছে বেশ কিছু অস্ত্র ও অর্থ রেখে যায় বলেই গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে। কেন? গোয়েন্দাদের বক্তব্য, জীবন সিংহ আর কিছু দিনের মধ্যে ভারতে ঢুকে শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন। তার আগে অস্ত্র ও অর্থ আর একটি জঙ্গি সংগঠনের কাছে জমা রেখে গেলে সেগুলি সুরক্ষিত থাকবে। পরে কখনও দাবিদাওয়া না মিটলে ফের জঙ্গি-জীবনে যেতে গেলেও এই অর্থ ও অস্ত্র তখন কাজে লাগবে।

জীবন সিংহের বয়স হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, এখন তিনি আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতেই পারেন। এর মধ্যেই বিভিন্ন বিষয়ে জীবন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আক্রমণ শুরু করেছেন। একটি অংশ মনে করছে, হয়তো জীবনকে এই ভাবেই কাজে লাগানো হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, এনএলএফটি-র সঙ্গে উত্তর-পূর্বের একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীর সম্পর্ক ভাল। কেএলও-র সম্পর্কও বন্ধুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই মুহূর্তে কেএলও এবং এনএলএফটি-র মধ্যে কোনও বৈঠক হয়েছে কি না, তা নিয়ে পুলিশের কাছে খবর নেই বলে জানান রাজ্য পুলিশের আইজি (আইনশৃঙ্খলা) অরিন্দম নাথ। সোমবার গুয়াহাটি থেকে ফোনে প্রাক্তন কেএলও জঙ্গি মালখান সিংহ বলেন, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার উদ্যোগে কেন্দ্রের সঙ্গে কেএলও-র শান্তি প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। মালখান জানান, মালদহ থেকে কিছু সদস্য গুয়াহাটি পৌঁছেছেন। আর এক প্রাক্তন কেএলও টম অধিকারীকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এসটিএফ আটকে রেখেছে বলে খবর। জীবনের বোন সুমিত্রা ও ভগ্নীপতি ধনঞ্জয়ও আসছেন অসমে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন