বিজেপিকে ঠেকানোই লক্ষ্য, জেডি (এস)-এর সঙ্গে দরাদরিতে নারাজ রাহুল

আজ দিল্লিতে নেমে রাহুল গাঁধীর ১২ তুঘলক লেনের বাড়িতে যান কর্নাটকের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। সেখানেই চলে আসেন সনিয়া গাঁধী। কুমারস্বামীকে রাহুল জানান, অতীত ভুলে ভবিষ্যতের জন্য জোট বাঁধতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৮ ০৩:১২
Share:

সাক্ষাৎ: রাহুল গাঁধীর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিচ্ছেন কুমারস্বামী। পাশে সনিয়া। সোমবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।

কর্নাটকের মন্ত্রিসভা নিয়ে দর কষাকষিতে তিনি যে নারাজ, আজ এইচ ডি কুমারস্বামীর সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্টই বুঝিয়ে দিলেন রাহুল গাঁধী। আপাতত তাঁর লক্ষ্য দু’টি। প্রথমত, আগামী লোকসভা ভোটে কর্নাটকে জেডি (এস)-এর কাছ থেকে যত বেশি সম্ভব আসন আদায় করা। দ্বিতীয়ত, জেডি (এস)-কে ইউপিএ-তে শামিল করে বিজেপি-বিরোধী জোটকে আরও শক্তিশালী করা।

Advertisement

আজ দিল্লিতে নেমে রাহুল গাঁধীর ১২ তুঘলক লেনের বাড়িতে যান কর্নাটকের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। সেখানেই চলে আসেন সনিয়া গাঁধী। কুমারস্বামীকে রাহুল জানান, অতীত ভুলে ভবিষ্যতের জন্য জোট বাঁধতে হবে। পরে রাহুল নিজেই টুইট করেন, ‘‘সৌহার্দ্য ও উষ্ণতার পরিবেশে বৈঠক হয়েছে কুমারস্বামীর সঙ্গে। কর্নাটকের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও পারস্পরিক আগ্রহের বিষয়ে কথা হয়েছে। বুধবার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমি উপস্থিত থাকব।’’

বৈঠকের শেষে কুমারস্বামী জানিয়েছেন, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য রাহুল এব‌ং সনিয়াকে ব্যক্তিগত ভাবে আমন্ত্রণ জানাতে এসেছিলেন তিনি। উভয়েই তা স্বীকার করেছেন।

Advertisement

বস্তুত, বুধবারের শপথে বিরোধী দলের প্রায় সব নেতাই উপস্থিত থাকছেন। সেটিই হবে মোদী-বিরোধী মঞ্চের প্রথম আনুষ্ঠানিক ভিত। তাই মন্ত্রিসভা নিয়ে জেডি (এস)-এর সঙ্গে বিশেষ দরাদরি করতে নারাজ রাহুল। তিনি চাইছেন, আগামী লোকসভা ভোটে কর্নাটকের ২৮টি আসনের মধ্যে ২০টি কংগ্রেসকে ছেড়ে দিন কুমারস্বামী। আর জেডি (এস) আসুক ইউপিএ-তে।

আরও পড়ুন: এখনও জোট ভাঙার স্বপ্ন দেখছেন অমিত

রাহুলের এই অবস্থানের ফলে আজ সকাল থেকে মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে দু’দলের নেতাদের মধ্যে যে টানাপড়েন শুরু হয়েছিল, তার অনেকটাই অবসান হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা চাইছিলেন, দু’জন উপমুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ করা হোক। তাঁদের এক জন লিঙ্গায়েত, অন্য জন দলিত। কংগ্রেসের ডি কে শিবকুমার এবং এম বি পাটিল দলিত মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার। কিন্তু এই প্রস্তাবে জেডি (এস) রাজি নয়।

রাহুল চান দু’দলের প্রদেশ নেতারাই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমস্যা মিটিয়ে নিন। কংগ্রেস নেতাদের দিল্লিতে এসে দরবার করতে নিষেধ করেছেন তিনি। মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে কুমারস্বামীকে কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপালের সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন রাহুল। আজ তুঘলক লেনে বেণুগোপালও উপস্থিত ছিলেন। কাল বেঙ্গালুরুতে দু’পক্ষের মধ্যে কথা হবে।

প্রাথমিক ভাবে কংগ্রেসের ২০ জন এবং জেডি (এস)-এর ১৩ জনকে মন্ত্রী করার কথা ভাবা হয়েছিল। আর স্পিকার পদটি কংগ্রেসকে দেওয়ার ব্যাপারে মোটামুটি ঐকমত্য হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন