যোগীর কেন্দ্রে বিপর্যয়

হাসপাতালে বন্ধ অক্সিজেন, ৪৮ ঘণ্টায় মৃত ৩০ শিশু!

উত্তরপপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র গোরক্ষপুরের বিআরডি হাসপাতালে গত আটচল্লিশ ঘণ্টায় মারা গিয়েছে অন্তত ৩০টি শিশু। অভিযোগ, ওই হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলেই ওই ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৭ ০২:৪৪
Share:

সন্তানহারা। ছবি: এএফপি

মুখ্যমন্ত্রী ঘুরে গিয়েছেন দু’দিন আগেই। তখন সবই ঠিক ছিল। গোলমাল শুরু হল তিনি বেরিয়ে যেতেই।

Advertisement

উত্তরপপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র গোরক্ষপুরের বিআরডি হাসপাতালে গত আটচল্লিশ ঘণ্টায় মারা গিয়েছে অন্তত ৩০টি শিশু। অভিযোগ, ওই হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলেই ওই ঘটনা ঘটেছে। তিনটি ওয়ার্ড মিলিয়ে মৃত ওই ৩০টি শিশুই এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।

কেন বন্ধ করা হলো অক্সিজেন?

Advertisement

অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহকারী বেসরকারি সংস্থাটির দাবি, ৭০ লক্ষ টাকার মধ্যে সিলিন্ডার কিনে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা মিটিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাকি টাকার জন্য বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও টাকা মেটাচ্ছিল না হাসপাতাল। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠিও দেয় ওই সংস্থা। তাদের দাবি, চিঠিতে তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, ওই বকেয়া টাকা না মেটালে তাদের তরফে অক্সিজেন সরবরাহ করে যাওয়া সম্ভব নয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই টাকা না মেটালে সরবরাহ বন্ধ করতে তারা বাধ্য হবেন বলেও হাসপাতালকে জানানো হয়েছিল।

আরও পড়ুন: রাজ্যে রাজ্যে যৌথ জনসভার প্রস্তাব মমতার

এই বিতর্কের মাঝে অক্সিজেনের অভাবে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থনাথ সিংহ। রাজ্যের তরফেও পরে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, অক্সিজেন বন্ধ হয়ে নয়, অন্য কারণে মৃত্যু হয়েছে শিশুগুলির।

জেলাশাসক রাজীব রাউতেলা এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, বুধবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ২৩টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে আরও ৭টি শিশুর। তিনি বলেন, ‘‘টাকা বাকি থাকায় সরবরাহকারী সংস্থা অক্সিজেন বন্ধ করে দেয় বলে ওই হাসপাতালই আমাদের জানায়। তবে অক্সিজেনের অভাবে শিশুমৃত্যু হয়নি বলেই দাবি হাসপাতালের। চিকিৎসকেরা জানান, তখনকার মতো অন্য জেলা থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার এনে পরিস্থিতি সামলানো হয়েছে।’’

গোরক্ষপুরের ওই হাসপাতালে গিয়ে অক্সিজেনের অভাবে শিশুমৃত্যুর তত্ত্ব অস্বীকার করেছেন রাজ্যের মেডিক্যাল শিক্ষা দফতরের ডিজি কে কে গুপ্তও। তিনি বলেন, ‘‘বিআইডি হাসপাতালের নিজস্ব অক্সিজেন ব্যবস্থা রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে অক্সিজেনের অভাবই শিশুমৃত্যুর এক মাত্র কারণ নয়।’’

এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন