Armed stalemate

অষ্টম বৈঠকেও ঐকমত্য অধরাই, কথা হবে ফের

রবিবার দু’দেশের সেনা সূত্রে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে দু’পক্ষই নিজেদের অবস্থান বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২০ ০৫:২৪
Share:

ফাইল চিত্র।

নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা সরানো নিয়ে চিনের সঙ্গে কমান্ডার স্তরের অষ্টম দফা বৈঠকেও কোনও সমাধানসূত্র সূত্র মিলল না। এই অবস্থায় সেনার উচ্চস্তরে আরও এক দফা বৈঠক খুব শিগগিরই হতে পারে বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে। এর মধ্যেই এ দিন তিব্বতের অরুণাচল প্রদেশ সীমান্ত পর্যন্ত রেললাইন পাতার কাজে সরকারি ভাবে সিলমোহর দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

Advertisement

গত শুক্রবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার চুসুল লাগোয়া মলডো-য় অষ্টম পর্যায়ের বৈঠকে বসেন দু’দেশের সেনা প্রতিনিধিরা। এই প্রথম বার ভারতের হয়ে বৈঠকে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ১৪ নম্বর কোরের নতুন কমান্ডার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল পি জি কে মেনন। চিনের সঙ্গে এর আগের সাত বার হওয়া এই বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেননের পূর্বসূরি লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরেন্দ্র সিংহ। সম্প্রতি হরেন্দ্রকে বদলি করা হয়েছে। গত ১৪ অক্টোবর সপ্তম দফার বৈঠকে হরেন্দ্রর সহকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেনন। শুক্রবারের বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে এক জন অসামরিক আধিকারিকও যোগ দিয়েছিলেন।

লাদাখের প্যাংগং লেকের উত্তরে ফিঙ্গার ৫ থেকে ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত এলাকায় ভারতীয় সেনা যাতে আগের মতো টহল দিতে পারে, সেই দাবি শুক্রবারের বৈঠকে ফের তুলেছে ভারত। ভারতীয় ভূখণ্ডের অন্তর্গত দেপসাং উপত্যকায় দৌলত বেগ ওল্ডি সড়কের কাছে চলে আসা চিনা সেনাকে সরতেও বলা হয়েছে। অন্য দিকে চিন চাইছে, দু’দেশের সঙ্ঘাতের নয়া ক্ষেত্র, অর্থাৎ প্যাংগং লেকের দক্ষিণের উঁচু এলাকাগুলির দখল নেওয়া ভারতীয় সেনাকে ওই সব এলাকা থেকে সরানো হোক। কিন্তু ইতিমধ্যেই চিনের দখলে চলে যাওয়া বেশ কিছু এলাকা উদ্ধার করতে না পারা ভারত ওই সুবিধেজনক অবস্থানগুলি ছাড়তে নারাজ। এই অবস্থায় রবিবার দু’দেশের সেনা সূত্রে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে দু’পক্ষই নিজেদের অবস্থান বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করেছে। এ ধরনের গঠনমূলক আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে দু’দেশই একমত হয়েছে’। কেন্দ্রের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে সেখানে শান্তি স্থাপন করা এবং দু’দেশের মধ্যে যাতে কোনও ভুল বোঝাবুঝি ও উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সে দিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে দু’দেশ। কূটনৈতিক স্তরে এবং সেনা পর্যায়ের আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে চায় দু’দেশ।’

Advertisement

লাদাখের একাধিক জায়গা দখল করে থাকা চিনা সেনার অপসারণ নিয়ে এখনও কোনও সমাধানসূত্র না বেরনোয় আপাতত আলোচনাতেই নজর দিচ্ছে দিল্লি। ভারত চাইছে, নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সম্পূর্ণ ভাবে দু’দেশের সেনা সরে গিয়ে এ বছর এপ্রিল মাসের আগের স্থিতাবস্থা ফিরে আসুক। প্রতিটি বৈঠকেই এই বিষয়টির উপরে জোর দিচ্ছে তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন