ললিত মোদী কাণ্ডে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজেকে নিয়ে নতুন অভিযোগ তুলল একটি টিভি চ্যানেল। আপাতত বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বা বসুন্ধরা-কাউকেই সরাতে রাজি নন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এই অভিযোগ তাঁর অস্বস্তি আরও বাড়াল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রাক্তন আইপিএল কর্তা ললিত মোদীকে বসবাসের অনুমতি পাইয়ে দিতে বসুন্ধরা রাজে গোপন সাক্ষ্য দিয়েছিলেন বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে। আজ চ্যানেলটি দাবি করেছে, বসুন্ধরা বছর দু’য়েক আগে ললিত মোদীর সলিসিটরকে একটি ই-মেল লিখেছেন। যেখানে বলা হয়েছে, তিনি নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত থাকায় সশরীর যেতে পারবেন না। ফলে তাঁর ‘আগের’ অবস্থানকেই মেনে নেওয়া হোক।
এই মেল থেকে অবশ্য স্পষ্ট নয়, আগের অবস্থানটি কী? বিরোধীদের দাবি, ললিত মোদীকে ব্রিটেনে বসবাসের জন্য তিনি যে গোপন সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, তারই কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিজেপি অবশ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত বিরোধীরা বসুন্ধরার স্বাক্ষর সংবলিত চিঠিটি বের করতে পারেননি। তা হলে কীসের ভিত্তিতে নিরন্তর হাওয়ায় অভিযোগ করে চলেছে?
একই সঙ্গে আদালতের তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, বসুন্ধরার ছেলে দুষ্মন্তের সঙ্গে ললিত মোদীর ব্যবসায়িক সম্পর্ক সন্দেহজনক এক সময়ে জানিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
অথচ গত কালই ওয়াশিংটনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি দাবি করেছিলেন, দুষ্মন্তের সঙ্গে ললিত মোদীর লেনদেনে কোনও অনিয়ম নেই। আজ নিতিন গডকড়ীও জয়পুরে বসুন্ধরার সঙ্গে দেখা করার পরে একই কথা বলেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, খোদ অর্থ মন্ত্রকের অধীনে ইডি যখন দুষ্মন্তের কারবার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে, সেই সময়ে কী করে অর্থমন্ত্রী ক্লিনচিট দিচ্ছেন?
লন্ডনে ললিত মোদীর সঙ্গে দেখা করা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার রাকেশ মারিয়াও। বিষয়টি নিয়ে আজ নিজের অবস্থান রাজ্য সরকারকে জািনয়েছেন রাকেশ মারিয়া।