তেজস্বীকেই উত্তরাধিকারী বাছলেন লালু

বেশ কিছু দিন ধরেই আরজেডিতে লালুর উত্তরাধিকারী নিয়ে আলোচনা চলছিল। রাবড়ীদেবী নিজে ছোট ছেলে তেজস্বীর পক্ষে মত দিলেও চুপ করেই ছিলেন লালুপ্রসাদ। বড় ছেলে তেজপ্রতাপ এবং বড়মেয়ে মিসা ভারতীর ‘বিদ্রোহ’-এর আশঙ্কায় ছিলেন তিনি।

Advertisement

দিবাকর রায়

পটনা শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:০০
Share:

তেজস্বী যাদব।

দলের উত্তরাধিকারী হিসেবে তেজস্বী যাদবের নামই ঘোষণা করলেন আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ। আগামী ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তেজস্বীকেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে সামনে রেখে ভোটে লড়বে আরজেডি। লালুর কথায়, ‘‘এখন যুবকদেরই সময়। দেশের দায়িত্ব যুবকদের হাতে তুলে দেওয়ার সময় এসেছে।’’ তবে লালুপ্রসাদের এই ঘোষণায় দলেরই প্রবীণ নেতা আব্দুল বারি সিদ্দিকি থেকে সহ-সভাপতি রঘুবংশপ্রসাদ সিংহ রীতিমতো ক্ষুব্ধ। রঘুবংশের মতে, ‘‘জনতাই আসল মালিক। মুখ্যমন্ত্রী কে হবে— তা তাঁরাই ঠিক করবেন!’’

Advertisement

বেশ কিছু দিন ধরেই আরজেডিতে লালুর উত্তরাধিকারী নিয়ে আলোচনা চলছিল। রাবড়ীদেবী নিজে ছোট ছেলে তেজস্বীর পক্ষে মত দিলেও চুপ করেই ছিলেন লালুপ্রসাদ। বড় ছেলে তেজপ্রতাপ এবং বড়মেয়ে মিসা ভারতীর ‘বিদ্রোহ’-এর আশঙ্কায় ছিলেন তিনি। কিন্তু গত চার মাসে বিহারের রাজনীতি আমূল পাল্টেছে। সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতর, রাজ্য ভিজিল্যান্স দফতরের চাপে বিহারের পয়লা নম্বর যাদব পরিবার রীতিমতো কোণঠাসা। এ হেন পরিস্থিতিতে পারিবারিক গোলমাল শিকেয় তুলে পরিবার জোটবদ্ধ হয়েছে। আর সেই সুযোগেই তেজস্বীকে নেতৃত্বের আসনে বসানোর কথা ঘোষণা করেছেন লালু।

সম্প্রতি আরজেডির এক বৈঠকে দলের রাজ্য সভাপতি রামচন্দ্র পূর্বে ঘোষণা করেন, তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বেই আগামী নির্বাচন লড়বে দল। সে সময়ে দলের নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী আব্দুল বারি সিদ্দিকি পূর্বের ঘোষণার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেননি। তিনি জানিয়েছিলেন, লালুপ্রসাদ দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করবেন। আসলে সিদ্দিকি রাজনৈতিক ভাবে বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখার পক্ষেই ছিলেন। কিন্তু তাঁকে সে সুযোগ না দিয়ে আজই লালু্প্রসাদ দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তেজস্বী নাম ঘোষণা করেন।

Advertisement

বয়স, শারীরিক অসুস্থতা-সহ নানা কারণে দলের দায়িত্ব আর সামলাতে পারছেন না লালুপ্রসাদ। অনেক দায়িত্ব ইতিমধ্যেই ছোটছেলের হাতেই তুলে দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া পশুখাদ্য মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে শীঘ্রই সাজা ঘোষণাও হতে পারে বলে তাঁর অনুমান। স্বাভাবিক ভাবেই দলের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধের কোনও তৈরি হোক, তা তিনি চান না।

তবে লালুপ্রসাদের এই সিদ্ধান্তে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী জেডিইউ। দলের মুখপাত্র নীরজ কুমার বলেন, ‘‘তেজস্বী সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছেন। তবে আরজেডিতে অনেক প্রবীণ গুরুত্বপূর্ণ নেতা রয়েছেন। শুধুমাত্র লালুপ্রসাদের ছেলে বলেই নেতৃত্ব দেওয়া হচ্ছে তাঁর হাতে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন