মিথ্যা মামলা সাজিয়েই জেলে লালুর দুই সেবক

২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাঁচীর ডিএসপি (সদর) জানিয়েছেন, সুমিত যাদব নামে যে ব্যক্তি ওই দু’জনের নামে ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে তাদের জেলে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করেছিল, তাকেও পুলিশ খুঁজছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:০১
Share:

বুধবার রাঁচীর বিশেষ সিবিআই আদালতে লালুপ্রসাদ। ছবি: পিটিআই।

দলনেতা লালুপ্রসাদের কাছে ‘সেবা’ পৌঁছে দিতেই মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে তাঁর দুই অনুগত, মদন যাদব ও লক্ষ্মণ মাহাতোকে জেলে পাঠানো হয়েছে। এই দু’জনের জেলে পৌঁছনোর খবর প্রকাশ হতেই পুলিশ নতুন করে তদন্ত শুরু করে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাঁচীর ডিএসপি (সদর) জানিয়েছেন, সুমিত যাদব নামে যে ব্যক্তি ওই দু’জনের নামে ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে তাদের জেলে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করেছিল, তাকেও পুলিশ খুঁজছে।

Advertisement

ঘটনার পিছনে আরজেডির কোন কোন নেতা রয়েছেন তা জানতে এই তিন জনকেই পুলিশ জেরা করবে বলে জানিয়েছে। পুলিশের ধারণা, এর পিছনে পাকা মাথা রয়েছে। মদন, লক্ষ্মণ বা সুমিত যাদব স্রেফ বোড়ে। যে পুলিশ কর্মী বা অফিসাররা ঘটনার সত্যতা যাচাই না করেই এত তৎপরতার সঙ্গে কেস আদালতে নিয়ে গেল তাঁদের ‘কাজকর্ম’-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ পুলিশেরই একটি মহলের ধারণা, পুলিশি যোগসাজশ ছাড়া এই কাজ এত সহজে হত না। উল্লেখ্য, ২৩ ডিসেম্বর, যে দিন সিবিআই আদালত লালুপ্রসাদকে দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পাঠায়, সেদিনই মদন ও লক্ষ্মণ কয়েদি হিসেবে বিরসা মুন্ডা জেলে পৌঁছে যায়।

দু’টি মামলার ফয়সালা হলেও লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা ঝুলে। তার শুনানিও চলছে। আজ সেই তিন মামলায় লালুপ্রসাদ সশরীরে হাজিরা দেন। তাঁকে নিরাপত্তা রক্ষীরা জেল থেকে আদালতে নিয়ে আসেন। এখনও তাঁর বিরুদ্ধে দুমকা, ডোরান্ডা ও চাইবাসা ট্রেজারির অর্থ তছরুপের মামলা রয়েছে। চাইবাসা ট্রেজারির অন্য মামলা ও দেওঘর ট্রেজারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত লালুপ্রসাদ যথাক্রমে পাঁচ ও সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement