Tej Pratap Yadav Controversy

অবশেষে মুখ খুললেন তেজ! ‘দল এবং পরিবার’ থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর লালুর উদ্দেশে কী বার্তা জ্যেষ্ঠপুত্রের?

গত রবিবার জ্যেষ্ঠপুত্র তেজপ্রতাপকে দল এবং পরিবার থেকে বিতাড়িত করেছিলেন আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। সেই সিদ্ধান্তের পর বিহারের রাজনীতিতে অনেক কিছু ঘটেছে। তবে এত দিন চুপই ছিলেন তেজপ্রতাপ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২৫ ১২:০৪
Share:

(বাঁ দিকে) তেজপ্রতাপ এবং লালুপ্রসাদ যাদব (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

ঠিক এক সপ্তাহ আগের কথা। গত রবিবার জ্যেষ্ঠপুত্র তেজপ্রতাপকে দল এবং পরিবার থেকে বিতাড়িত করেছিলেন আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। সেই সিদ্ধান্তের পর বিহারের রাজনীতিতে অনেক কিছু ঘটেছে। একে একে মুখ খুলেছেন তেজপ্রতাপের ভাই তেজস্বী থেকে স্ত্রী ঐশ্বর্যা। তবে এত দিন চুপই ছিলেন তেজ। আট দিনের মাথায় মুখ খুললেন তিনি।

Advertisement

রবিবার সমাজমাধ্যমে পর পর দু’টি পোস্ট করেন তেজপ্রতাপ। প্রথম পোস্টে তিনি জানান, লালুর ‘আদেশ’ মেনে নিচ্ছেন! তবে দ্বিতীয় পোস্টে দলেরই কিছু নেতার দিকে আঙুল তুলেছেন তেজ। তাঁর কথায়, ‘‘আমার প্রিয় বাবা ও মা! আমার পুরো পৃথিবীতে শুধু তোমরা দু’জনই রয়েছ। তোমরা এবং তোমাদের দেওয়া যে কোনও আদেশ আমার কাছে ঈশ্বরের চেয়েও বড়। আমার শুধু তোমাদের বিশ্বাস এবং ভালবাসার প্রয়োজন, আর কিছু নয়।’’ তার পরেই তেজ দাবি করেন, ‘‘বাবা, তুমি যদি না থাকতে, তবে এই দল (আরজেডি) থাকত না। শুধু তা-ই নয়, জয়চাঁদের মতো লোভী কিছু মানুষ, যাঁরা আমার সঙ্গেই রাজনীতি করেছেন, তাঁদেরও ঠাঁই হত না।’’

তেজপ্রতাপ-বিতর্কের সূত্রপাত ২৪ মে। সে দিন সন্ধ্যায় তেজপ্রতাপের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে এক মহিলার ছবি পোস্ট করা হয়। দাবি, ছবিতে তেজপ্রতাপের সঙ্গে যাঁকে দেখা যাচ্ছে, তাঁর নাম অনুষ্কা যাদব। সেই পোস্টে দাবি করা হয়, তেজপ্রতাপ এবং অনুষ্কা গত ১২ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ। দীর্ঘ দিনের সেই সম্পর্কের কথা এখন তিনি প্রকাশ্যে আনছেন। সেই পোস্ট প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় বিহারের রাজনীতিতে। যদিও তেজপ্রতাপ পরে দাবি করেন, তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল হ্যাক করা হয়েছে। তাঁর ছবি ‘এডিট’ করে পোস্ট করেছে হ্যাকারেরা। তাঁর এবং তাঁর পরিবারের মানহানির লক্ষ্যেই এই সব ছবি পোস্ট করা হয়েছে। গুজবে কান না-দেওয়ার আহ্বানও জানান তেজপ্রতাপ।

Advertisement

কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বড় পুত্রকে আরজেডি এবং পরিবার থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন লালু। তিনি স্পষ্ট জানান, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ’ এবং ‘পারিবারিক মূল্যবোধ ক্ষুণ্ণ’ করার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আগামী ছ’বছর আরজেডির সঙ্গে তেজপ্রতাপের কোনও সম্পর্ক থাকবে না বলেও জানিয়েছিলেন লালু। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানান তেজস্বীও। তিনি জানান, আরজেডি ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক আচরণের মধ্যে স্পষ্ট বিভাজন বজায় রাখতে জানে! অনেকেই তেজের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তবে এত দিন নিজেকে অন্তরালেই রেখেছিলেন তেজ। এ বার নিজের অনুভূতি প্রকাশ করলেন লালু-পুত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement