Lalu Prasad Yadav Daughter

‘আমার কোনও পরিবার নেই’! সমাজমাধ্যমে ঘোষণার পর মুখ খুললেন লালুকন্যা, কাঠগড়ায় তুললেন তেজস্বীকে

শনিবার দুপুরে রোহিনীর পোস্ট শোরগোল ফেলে দেয় বিহারের রাজনীতিতে। বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডির শোচনীয় হারের পরের দিনই যাদব পরিবারের দ্বন্দ্ব নিয়ে আলোচনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ২২:৩২
Share:

(বাঁ দিকে) রোহিনী আচার্য এবং তেজস্বী যাদব (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন এবং রাজনীতি থেকে তাঁর দূরে যাওয়ার নেপথ্যে এ বার সরাসরি তেজস্বী যাদবকে কাঠগড়ায় তুললেন লালুপ্রসাদ যাদবের কন্যা রোহিনী আচার্য। শনিবার এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে যাদব পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদের কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সেই পোস্টে সরাসরি তেজস্বীর নাম না-নিলেও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, লালুপুত্রের জন্যই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। এ বার সরাসরি জানিয়ে দেন, তেজস্বীই তাঁকে পরিবার থেকে বার করে দিয়েছেন!

Advertisement

শনিবার দুপুরে রোহিনীর পোস্ট শোরগোল ফেলে দেয় বিহারের রাজনীতিতে। বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডির শোচনীয় হারের পরের দিনই যাদব পরিবারের দ্বন্দ্ব নিয়ে আলোচনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। পরিবার এবং রাজনীতি থেকে দূরে যাওয়ার নেপথ্যে সঞ্জয় যাদব এবং রামিজ় নামে দুই জনৈকের কথা জানান রোহিনী। তাঁর ছোট্ট পোস্ট, ‘‘আমি রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছি। আমার (যাদব) পরিবারকেও অস্বীকার করছি। সঞ্জয় যাদব এবং রামিজ় আমাকে এটাই করতে বলেছিলেন। সব দায় আমি মাথা পেতে নিচ্ছি।’’ জানা যায়, সঞ্জয় এবং রামিজ়— দু’জনেই তেজস্বী-ঘনিষ্ঠ। সেই হিসাবেই রোহিনীর সিদ্ধান্তের সঙ্গে জুড়ে যায় তেজস্বীর নাম।

তবে শনিবার রাতে পটনা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সরাসরি তেজস্বীর নাম নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন রোহিনী। তাঁর স্পষ্ট জবাব, ‘‘আমার কোনও পরিবার নেই। আপনাদের তেজস্বী যাদব, সঞ্জয় যাদব এবং রামিজ়কে জিজ্ঞাসা করা উচিত। তাঁরাই আমাকে পরিবার থেকে তাড়িয়েছেন।’’ এখানেই থামেননি রোহিনী। তাঁর ক্ষোভ, ‘‘ওঁরা কোনও দায়িত্ব নিতে চান না। সকলে জিজ্ঞাসা করছে, কেন এ ভাবে ধরাশায়ী হল আরজেডি?’’ লালুকন্যার দাবি, ‘‘যখনই সঞ্জয় বা রামিজ়ের কথা বলা হয়, তখনই বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়। করা হয় অপমানও।’’

Advertisement

কয়েক মাস আগেই লালু তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র তেজপ্রতাপ যাদবকে দল এবং পরিবার থেকে ত্যাগ করেন। এ বার রোহিনী যাদব-পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ালেন। যাদব-পরিবারের অন্দরে যে সব কিছু ঠিকঠাক নেই, তা গত কয়েক মাস ধরেই অনুমান করা যাচ্ছিল। আরজেডি, লালু এবং তেজস্বীকে সমাজমাধ্যমে ‘আনফলো’ করে দেন তিনি। তাঁর বিভিন্ন সমাজমাধ্যম পোস্টেও আরজেডি এবং তেজস্বীর বিরোধিতার আভাস মিলেছে অতীতে। বরং লালুর জ্যেষ্ঠপুত্র তেজপ্রতাপের প্রতিই তাঁর বেশি সহানুভূতি প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন সময়ে। তবে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নেবেন, তা কল্পনা করেননি অনেকেই।

লালুর খুবই পছন্দের রোহিনী। লালু অসুস্থ থাকাকালীন তাঁকে কিডনি দিয়েছিলেন তিনি। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে লালুর কিডনি প্রতিস্থাপিত হয়। দাবি করা হয়, রোহিণীই সেই কিডনি দেন। তার পর দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে কন্যা রোহিণীর প্রশংসা করতে দেখা যায় লালুকে। গত লোকসভা নির্বাচনে বিহারের সারন কেন্দ্র থেকে মেয়েকে টিকিটও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিততে পারেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement