Bihar Assembly Election 2025

‘সরকারে থাকব’! বিহার ভোটের ফল প্রকাশের পরেই সুর বদল চিরাগের, জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাকে চান?

নীতীশের সঙ্গে চিরাগের সম্পর্ক বিহার রাজনীতিতে বহুচর্চিত। অতীতে দুই নেতার মধ্যে বিরোধ চরমে উঠেছিল। তবে এ বার বিহার ভোটের আগে সেই সমীকরণ বদলায়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:০৭
Share:

এলজেপি-আর প্রধান তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ান। —ফাইল চিত্র।

প্রায় সব ভোটপণ্ডিতদের ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ ওলট-পালট করে দিয়ে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে জিতে আবার সরকার গড়ার পথে নীতীশ কুমারের জেডিইউ নেতৃত্বাধীন এনডিএ। সেই জোটের সঙ্গী চিরাগ পাসওয়ানের দল লোক জনশক্তি পার্টি-রামবিলাস (এলজেপি-আর) চায়, এ বারের সরকারে যোগ দিতে! শুধু তা-ই নয়, চিরাগ চান, আবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশই।

Advertisement

বিহারের নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী এ বার কোনও নাম ঘোষণা করেনি এনডিএ। ফলে নির্বাচন জিতলেও বাংলার পড়শি রাজ্যে কে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। তার মধ্যেই চিরাগ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নিজের সমর্থন জানালেন নীতীশকেই!

নীতীশের সঙ্গে চিরাগের সম্পর্ক বিহার রাজনীতিতে বহুচর্চিত। অতীতে দুই নেতার মধ্যে বিরোধ চরমে উঠেছিল। তবে এ বার বিহার ভোটের আগে সেই সমীকরণ বদলায়। আর ভোটে জিতে সেই নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদার বলেই মনে করেন চিরাগ। তিনি এ-ও জানিয়ে দেন, বিহার সরকারে থাকবে তাঁর দল। অর্থাৎ, মন্ত্রিত্বের দাবি জানানো হবে তা একপ্রকার স্পষ্ট করে দেন চিরাগ।

Advertisement

বিহারের ফলপ্রকাশের পরের দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাজিপুরের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ বলেন, ‘‘আমার দলের প্রতিনিধিরা নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করেন। জয়ের জন্য তাঁকে শুভেচ্ছাও জানান।’’ তার পরেই চিরাগ জানান, সরকারে যোগ দেবে তাঁর দল। যদিও অতীতে চিরাগ জানিয়েছিলেন, তাঁর দল সরকারকে সমর্থন করলেও সরকারে থাকবে না। তবে ভোটের ফলাফলের পর সেই মত পাল্টালেন চিরাগ। কেন মতবদল তাঁর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কারণ ছিল। রাজ্য বিধানসভায় আমাদের কোনও প্রতিনিধি ছিল না। তাই আমরা সরকারে না-থাকার কথা বলেছিলাম।’’

পাঁচ বছর আগে অর্থাৎ, ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে চিরাগের দল লোক জনশক্তি পার্টি-রামবিলাস (এলজেপি-আর) এনডিএ শরিক হিসাবে লড়েনি। বিজেপির সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক তখনও ছিল। কিন্তু বাবা রামবিলাস পাসওয়ানের সঙ্গে নীতীশ কুমারের আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্কের জের থেকে চিরাগ তখনও মুক্ত হতে পারেননি। তাই নীতীশের দল জেডিইউয়ের সঙ্গে জোটে যেতে চাননি। বিহারের ১৪৩টি বিধানসভা আসনে তিনি প্রার্থী দিয়ে দেন। বিজেপি যে সব আসনে লড়ছিল, সেগুলি বাদ দিয়ে বেছে বেছে জেডিইউয়ের ভাগের আসনগুলিতে। তাতে চিরাগ নিজের দলের খাতা উজ্জ্বল করতে পারেননি। একটি মাত্র আসন জিতেছিল এলজেপি-আর।

পরে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এনডিএ শরিক হিসাবেই লড়েন প্রয়াত রামবিলাসের পুত্র। পাঁচটি লোকসভা আসনে লড়ে সবক’টিতেই জেতে তাঁর দল। তৃতীয় মোদী সরকারে চিরাগ মন্ত্রীও হন। কিন্তু মাস ছয়েকের মধ্যেই বিহারের রাজনীতিতে ফের নীতীশের সরকারের সমালোচনায় সরব হতে শুরু করেন। ফলে ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ কতটা জোটবদ্ধ হয়ে লড়বে, তা নিয়ে নানা মহলে সংশয় ছিল। আসন ভাগাভাগি পর্বে সে সংশয় আরও বেড়েছিল। কারণ, বিহারে অন্তত ৪০টি আসন এলজেপি-আর লড়বে বলে চিরাগ এক সময়ে জেদ ধরে বসেছিলেন। পরে অমিত শাহের মধ্যস্থতায় চিরাগ ২৮টি আসন নিয়েই জোটে থাকতে রাজি হয়ে যান। সেই ২৮টি আসনের মধ্যে ১৯টিই আসনেই জয় পায় চিরাগের দল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement