মুলায়মকে বোঝানোর চেষ্টায় লালু-শরদ-নীতীশ

মুলায়ম সিংহ যাদব সঙ্গ ছাড়তেই মহাজোটের পালের হাওয়ায় টান পড়েছে বিহারে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে লালুপ্রসাদ ও শরদ যাদব। দুই নেতাই আজ দিল্লিতে মুলায়ম সিংহ যাদবের সঙ্গে দেখা করেছেন।

Advertisement

দিবাকর রায়

পটনা শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:৪৮
Share:

মুলায়ম সিংহ যাদবের বাড়িতে লালু প্রসাদ এবং শরদ যাদব। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।

মুলায়ম সিংহ যাদব সঙ্গ ছাড়তেই মহাজোটের পালের হাওয়ায় টান পড়েছে বিহারে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে লালুপ্রসাদ ও শরদ যাদব। দুই নেতাই আজ দিল্লিতে মুলায়ম সিংহ যাদবের সঙ্গে দেখা করেছেন। নীতীশ কুমারও বলছেন, প্রয়োজন হলে তিনিও দিল্লি যাবেন মুলায়মের সঙ্গে কথা বলতে। তবে তাতে পরিস্থিতি পাল্টাবে না বলেই সমাজবাদী পার্টির রাজ্য নেতাদের ধারণা। দল সিদ্ধান্ত পাল্টাবে না বলেই তাঁদের দাবি।

Advertisement

এই নির্বাচনে মাত্র ৯৮টি আসনে লালুপ্রসাদ লড়বেন ঠিক হয়। সেখানে কংগ্রেস লড়বে ৪০টি-তে। লালুপ্রসাদের কোটা থেকে দু’টি এবং ছেড়ে রাখা বাকি তিনটি আসন দেওয়া হয় সমাজবাদী পার্টিকে। এ নিয়েই ক্ষুব্ধ মুলায়ম সিংহ যাদব। যদিও সপা নেতাদের বক্তব্য, আসন নিয়ে চাপ দেননি ‘নেতাজি’। তিনি ‘সম্মান’ চেয়েছিলেন। সেটা মেলেনি বলেই দাবি। স্বাভিমান সভায় তাঁকে সভাপতি করা হবে বলে ভেবেছিলেন মুলায়ম। সেখানেও সনিয়াকে নিয়ে মাতামাতিতে ক্ষুব্ধ তিনি। এ ছাড়া, ১০০:১০০:৪০ আসন রফার সূত্রে তাঁকে সামিল করা হয়নি। মুলায়ম জানতেন না যে এই সূত্র তৈরি হয়েছে। গোটাটাই নীতীশ করেছেন বলে খবর। তা নিয়ে শরদ যাদব এবং লালুপ্রসাদের কাছেও নিজের বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছেন মুলায়ম।

দিল্লি যাওয়ার আগে লালুপ্রসাদ অবশ্য বলেন, ‘‘এই জোটের নেতা মুলায়মজি। তিনি আমাদের সঙ্গেই থাকবেন।’’ যদিও ঘনিষ্ঠ মহলে লালুপ্রসাদ জানান, সমাজবাদী পার্টি এ ভাবে ডুবিয়ে দেবে তা তিনি আঁচ করতে পারেননি। স্বাভিমান সভার আগে সমাজবাদী পার্টির তরফে কোনও বার্তা থাকলে ‘অন্য রাজনৈতিক পথ’ নেওয়া যেত। আরজেডি সূত্রের খবর, মুলায়ম সিংহের চাপেই নীতীশ কুমারকে জোটের নেতা হিসেবে মেনে নেন লালু। মুলায়ম সিংহ জোট ছেড়ে দেওয়ায় সেই রাস্তা কিছুটা পিচ্ছিল হল। এ দিন নীতীশ কুমার বলেন, ‘‘পরশুও আমার সঙ্গে মুলায়মজির কথা হয়েছে। প্রয়োজনে আমি নিজে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলব।’’

Advertisement

আজ লালুপ্রসাদ অবশ্য বলেন, ‘‘ভোটের পরেও নীতীশ কুমার আমাদের নেতা থাকবেন। না হলে রাজনৈতিক নেতাদের উপর থেকে মানুষের বিশ্বাস উঠে যাবে।’’ মুখে এ কথা বললেও রঘুনাথ ঝা চলে যাওয়ার পরে চিন্তায় রয়েছেন তিনি। আগামী দিনে বড় ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে আরজেডিতেই। দলের ভিতরে, নেতারা নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট নিয়ে নানা কথা বলছেন। রঘুবংশপ্রসাদ সিংহ বলেই দিয়েছেন, ‘‘দলের কর্মীরা মনোবল হারাচ্ছেন। নেতৃত্বের কিছু করা দরকার।’’

আজ জেডিইউ রাজ্য দফতর থেকে বেরনো একটি মিছিল দেখেই বোঝা যায় মনোবল তলানিতে। নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ‘শব্দ-ওয়াপসি অভিযান’-এর সমর্থনে এই মিছিলে ছিল মাত্র শ’খানেক লোক। পরিস্থিতি যে ঠিক নেই তা স্পষ্ট এক নেতার কথাতেও। তিনি বলেন, ‘‘মিছিলে আসতে রাজি হননি কোনও নেতা। কর্মী-সমর্থকরা অনেকেই হতাশ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন