Lalu Prasad Yadav

পশুখাদ্য মামলায় ফের ৫ বছরের জেল লালুর

দুপুর আড়াইটে নাগাদ সাজা ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়েছিল আদালত। তবে, তার বেশ খানিকটা আগেই পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকার জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রাঁচী শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ ১৩:০২
Share:

আবার বড়সড় সাজা লালুর। গ্রাফিক্স: শৌভিক দেবনাথ।

পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির একটি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হল বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবকে। বিশেষ সিবিআই আদালত বুধবার সকালে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে। সাজাও এ দিন দুপুরে ঘোষিত হয়ে গেল। শুধু লালুপ্রসাদ নন, বিহারের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রকেও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দেওঘর ট্রেজারি মামলায় লালুর কারাদণ্ড আগেই ঘোষিত হয়েছিল। এ বার চাইবাসা ট্রেজারি মামলায় কারাদণ্ড হল। রাঁচীতে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত লালুকে দোষী সাব্যস্ত করে। দুপুর আড়াইটে নাগাদ সাজা ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়েছিল আদালত। তবে, তার বেশ খানিকটা আগেই পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকার জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত।

ওই চাইবাসা ট্রেজারিরই অন্য একটি মামলায় লালু আপাতত জামিনে থাকলেও দেওঘর ট্রেজারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিনি এই মুহূর্তে জেল-বন্দি। সিবিআই আদালতের বিশেষ বিচারক এস এস প্রসাদ এ দিন ওই মামলায় ৫৬ জন অভিযুক্তের মধ্যে লালু-সহ ৫০ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। দোষীদের মধ্যে অবিভক্ত বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রও ছিলেন। যে দেওঘর মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে এই মুহূর্তে কারাবাস করতে হচ্ছে লালুকে, সেই একই মামলায় এর আগে বেকসুর ছাড়া পেয়েছিলেন জগন্নাথ।

Advertisement

রাঁচীতে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত চত্বর থেকে আনন্দবাজারের প্রতিনিধি আর্যভট্ট খানের ভিডিও প্রতিবেদন...

চলতি মাসের ৬ তারিখে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দেওঘর ট্রেজারি তছরুপ মামলায় লালু ছাড়াও দোষী সাব্যস্ত হন আরও ১৫ জন। ১৯০০-৯৪ সালের ওই দুর্নীতিতে লালুকে সিবিআই আদালত সাড়ে তিন বছরের জেল আর পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করে। অনাদায়ে আরও ছ’মাসের জেল। এর আগে ২০১৩ সালে বাঁকা-ভাগলপুর ট্রেজারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে যেতে হয় তাঁকে। আরজেডি সুপ্রিমো লালুর শারীরিক অবস্থার কথা আদালতে জানিয়ে সাজা যাতে কম হয়, সেই আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবীরা।

আরও পড়ুন: নোটবন্দিতে উন্নত জীবন, দাবি মোদীর

১৯৯২-৯৩ সালে অবিভক্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। সেই সময় রাজ্যে একের পর এক ট্রেজারিতে পশুখাদ্য সংক্রান্ত দুর্নীতি হয়। কোটি কোটি টাকা নয়ছয় হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে একের পর ট্রেজারি নিয়ে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এ দিন যে মামলাটিতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আরজেডি প্রধান, সেটি চাইবাসার। প্রায় ৩৩ কোটি ১৩ লাখ টাকার ওই মামলায় লালু সাজা পেলেন। এই নিয়ে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির তিনটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন তিনি।

আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতিকে সরানোর তোড়জোড়

এখনও লালুর বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দু’টি মামলা ঝুলছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই তার রায় ঘোষণা হবে বলে জানা গিয়েছে। একটি দোরান্ডা এবং অন্যটি দুমকা ট্রেজারি মামলা। ওই দু’টি মামলার শুনানিই অন্তিম পর্যায়ে রয়েছে। দেওঘর ট্রেজারি মামলায় সাজাপ্রাপিত লালুর জামিন সংক্রান্ত আবেদনটি এখনও ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে ঝুলে রয়েছে।

এ দিন সাজা ঘোষণার পর লালুর ছেলে তেজস্বী প্রসাদ জানান, তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাবেন। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টেও যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।তবে আইনজীবীদের একাংশের মতে, তিন বার কারাদণ্ডের সাজা পাওয়ায় লালুর জামিন পাওয়া কার্রযত অসম্ভব হয়ে উঠল। হাইকোর্টে গিয়ে তেমন কোনও সুবিধা মিলবে না বলেও মত তাঁদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন