দুর্ঘটনার পরে। শুক্রবার দোয়ানি কোলিয়ারিতে। ছবি: চন্দন পাল
ঝরিয়ার বস্তাকোলের দোয়ানি কয়লাখনিতে ধস নেমে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কা এখনও আটকে আছেন কমপক্ষে আরও চার জন। শুক্রবার সকালের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিক ভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম পঙ্কজ কুমার (১৬), নাগেশ্বর মাহাতো (২০) ও চন্দনা কুমারী(১৩)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সোমবার সকালে বেআইনি ভাবে কয়লা তুলতে ওই খনিতে ঢোকে বস্তাকোল এলাকার কয়েক জন বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে কয়েক জন বাসিন্দা কয়লা তুলতে গিয়ে আটকে পড়েছে বলে ওই এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ঝরিয়া থানার পুলিশ ও এলাকার বাসিন্দারা। এক সঙ্গে দশ বারো জনের একটি দল ওই খনিতে ঢুকেছিল বলে জানতে পারে পুলিশ। তাদের মধ্যে যাঁরা কোনও রকমে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন তাঁদের একজন জানান, ‘‘হঠাৎ করেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়তে থাকে খনির উপরের অংশ। যাঁরা খনির অনেকটা ভিতরে ছিলেন তাঁরা আর বেরোতে পারেননি।’’
পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল উদ্ধারের কাজে নামে। খনি থেকে দুপুরের দিকে বের করা হয় চন্দনা, নাগেশ্বর ও পঙ্কজের দেহ। চন্দনা কুমারী ও পঙ্কজ কুমার স্থানীয় স্কুলে পড়ে। চন্দনার এক আত্মীয় বলেন, “কয়লা তুলতে যেতে ওকে বারণ করেছি। পেটের দায়ে মাঝেমধ্যেই কয়লা আনতে যেত।” আজ বিকেলের পরে উদ্ধার কাজ বন্ধ করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে ফের উদ্ধার কাজ শুরু হবে।