(বাঁদিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং রাহুল গান্ধী (ডানদিকে)। —ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে তৈরি হওয়া ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহে এই প্রথম বার দুই নেতার সাক্ষাৎ হল।
সরকারি সূত্রের খবর, নতুন সিবিআই প্রধান নিয়োগের উদ্দেশ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর ৭ লোককল্যাণ মার্গের দফতরে গিয়েছেন রাহুল। সাংবিধানিক বিধি অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা এই কমিটির সদস্য। সিবিআইয়ের বর্তমান ডিরেক্টর প্রবীণ সুদের মেয়াদ আগামী ২৫ মে শেষ হচ্ছে। সোমবার তাঁর উত্তরসূরি মনোনীত করতে পারে তিন সদস্যের কমিটি।
প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও সন্ত্রাসের পরে পাকিস্তানকে প্রত্যাঘাতের প্রশ্নে বিরোধীরা একজোট হয়ে মোদী সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিল। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে জানিয়েছিলেন, সঙ্কটের পরিস্থিতিতে তাঁরা রাজনীতি করতে চান না। কিন্তু গত শনিবার সেই বিরোধীদেরই ব্যঙ্গাত্মক ভাবে করে রাজনৈতিক নিশানা করেছিলেন মোদী। কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের কাছে কেন্দ্র, রাজ্য ও আদানি গোষ্ঠীর যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভিড়িনজাম সমুদ্র বন্দরের উদ্বোধন মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী বিরোধী শিবিরকে খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘আমি কেরলের মুখ্যমন্ত্রীকে (পিনারাই বিজয়ন) বলছি, আপনি তো ইন্ডিয়া জোটের খুবই শক্তিশালী এক স্তম্ভ। আপনি এখানে রয়েছেন, শশী তারুর (কংগ্রেস সাংসদ) বসে আছেন। আজকের এই অনুষ্ঠান অনেকেরই ঘুম ছুটিয়ে দেবে!” প্রধানমন্ত্রীর এই কটাক্ষের পরে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল বলেন, ‘‘বিরোধীরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরকারের পাশে থাকছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের অপমান করছেন। প্রধানমন্ত্রীর এটাই মানসিকতা।’’ কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা বলেন, ‘‘দেশের দুর্ভাগ্য যে এই স্পর্শকাতর সময়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী এই নিচু স্তরের রাজনীতি করছেন। দেশের শত্রুরা হয়তো হাসছে।’’