ছবি: টুইটার
শহরের আট লাখ মানুষ কার্যত ঘরবন্দি। কারণ রাস্তায় ঘুরছে একটি চিতাবাঘ! থমথমে হয়ে যায় শহরের পরিস্থিতি। প্রায় ৬ ঘণ্টা রীতিমতো তাণ্ডব চালায় শহর জুড়ে চিতাবাঘটি। অবশেষে বশে আনা সম্ভব হয় সেটিকে। গোটা শহরবাসীকে আতঙ্কে ফেলে দেওয়া এই ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের জলন্ধরে।
শহরের রাস্তায় ঢুকে পড়বার কিছুক্ষণের মধ্যেই চারজনের উপর হামলা চালায় চিতাবাঘটি। আতঙ্কে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়েন মানুষ-জন। তড়িঘড়ি খবর যায় বন দফতরের কাছে। তারপরেও চিতা বাঘটির তান্ডব থামেনি। তাড়ানোর জন্য ইট-পাটকেলও ছোঁড়া হয় বাঘটির দিকে। এক ব্যক্তি মইয়ের উপর উঠে চিতাবাঘটিকে জালবন্দি করবার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। সেই ব্যক্তিকেও আক্রমণ করে চিতাবাঘটি।
চিতাবাঘটির তাণ্ডবের একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে যে এক সময় বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন চিতাবাঘটিকে দেখবার জন্য। কিন্তু তাতেই চিতাবাঘটি ঘাবড়ে গিয়ে আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে জানিয়েছেন পঞ্জাবের বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের নরখাদক চিতাবাঘকে ‘মৃত্যুদণ্ড’-এর নির্দেশ বন দফতরের
পঞ্জাবের বন বিভাগের কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন যে, কোনও ভাবে হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ি এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল চিতাবাঘটি। তার পরেই সেটি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। শেষে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে বাঘটিকে আয়ত্তে আনা হয় বলে জানানো হয়েছে বন দফতরের তরফে। সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বাধ্য হয়ে জেলার কিছু সড়কও বেশ কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ করে রাখতে হয় পুলিশকে।
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের আগে শেষ বাজেটে কামধেনু নরেন্দ্র মোদী
উদ্ধার করবার পরে চিতাবাঘটিকে স্থানীয় একটি চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আপাতত কিছুদিন সেটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।