ক্লিফিন ফ্রান্সিসের ফেসবুক নেওয়া ছবি।
বিশ্বকাপ নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে। পছন্দের দলকে সমর্থন করতে দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করেছেন রাশিয়ায়। আর যাঁরা রাশিয়া যাওয়ার খরচ বহন করতে অপারগ তাঁদের চোখ টেলিভিশনের পর্দায়। কিন্তু এমন ভক্তও আছেন যিনি প্রায় সাইকেলে চড়েই পৌঁছে গেলেন রাশিয়া।
কেরলের চেরথালার বাসিন্দা ক্লিফিন ফ্রান্সিস। কোচির এক স্কুলে অঙ্কের শিক্ষক ২৮ বছরের ক্লিফিন একজন মেসি ভক্ত। আর সাইকেল নিয়ে ঘোরা তাঁর নেশা। এবারে ফিফা বিশ্বকাপে মেসির খেলা দেখার কোনওভাবেই মিস করতে চাইছিলেন না ক্লিফিন। অথচ অত টাকাও জোগাড় করতে পারেননি। শিক্ষকতা করে এতদিনে যা টাকা জমিয়েছিলেন তাতে দুবাই পর্যন্ত যাতায়াতের বিমান ভাড়া জুটে যাবে তাঁর। কিন্তু তারপর? ক্লিফিন ঠিক করে ফেলেন বাকি রাস্তাটা সাইকেলে চেপেই রওনা দেবেন। স্বপ্ন পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাঁর স্কুল। স্কুল থেকে এতদিনের ছুটির অনুমোদন মিলছিল না। স্বপ্ন পূরণ করতে তাই চাকরি থেকেও ইস্তফা দিয়ে দেন ক্লিফিন।
ক্লিফিন জানিয়েছেন, ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি কেরল থেকে রওনা দেন। প্রথমে বিমানে দুবাই পৌঁছন। দুবাইয়ে একটি সাইকেল কিনে নেন এবং সাইকেলে চেপেই মস্কো পর্যন্ত ৪০০০ কিলোমিটার পাড়ি দেন। সৌদি আরব, ইরান এবং আজারবাইজান পেরিয়ে ৫ জুন ক্লিফিন পৌঁছে গিয়েছেন রাশিয়ার। সেখান থেকে আরও ৬০০ কিলোমিটার গেলে পৌঁছবেন মস্কোয়।
আরও পড়ুন: ‘তারকা হলেই এ ভাবে কথা বলা যায় নাকি?’ প্রশ্নের মুখে অনুষ্কা
ক্লিফিন বলেন, ‘‘ছোটবেলা থেকেই ফুটবলকে ভালবাসি। আর্জেন্তিনা আমার প্রিয় দল। আর গ্যালারিতে বসে বিশ্বকাপ দেখা আমার স্বপ্ন। কিন্তু সবটাই খুব খরচসাপেক্ষ। যা সময় পেয়েছি তাতে ফ্রান্স আর ডেনমার্কের খেলাটা দেখব। তারপর রাশিয়ার কিছু দিন কাটিয়ে বাড়ি ফিরব। সাইকেলে মেসির অটোগ্রাফটাই মূল লক্ষ্য তাই।’’