বিহারে বুথের বাইরে ভোটারদের লাইন। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফার ভোট চলছে সেখানে। ছবি: পিটিআই।
বিহারে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটের হার ৬৭.১৪ শতাংশ। বিহারে বিধানসভা ভোটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এই ভোটদানের হার সর্বোচ্চ। নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশের পরে এই হারের কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। বিহারে ফলঘোষণা হবে ১৪ নভেম্বর। বিহারে প্রথম দফায় ভোট পড়েছিল ৬৫ শতাংশ।
দ্বিতীয় দফায় দুপুর ৩টে পর্যন্ত বিহারে ভোট পড়ল ৬০.৪০ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে কিশনগঞ্জে (৬৬.১০ শতাংশ)। তার পরেই রয়েছে পূর্ণিয়া (৬৪.২২ শতাংশ)। কাটিহারেও ৬৩.৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
বিহারবাসী কোনও ‘ফাঁকা আওয়াজ’ চান না, তাঁরা কাজে দেখতে চান। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন চলাকালীন এমনটাই মন্তব্য করলেন আরজেডি নেতা তথা বিরোধী শিবিরের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘এনডিএ সরকারের কাছ থেকে সাধারণ মানুষ শুধুই আশ্বাস, স্লোগান এবং ফাঁকা আওয়াজই পেয়েছেন। বিহারের মানুষ আর এক মুহূর্তের জন্যও এ সব সহ্য করবে না।’
দুপুর ১টা পর্যন্ত বিহারে ভোট পড়ল ৪৭.৬২ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে কিশনগঞ্জ এবং গয়ায়। দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই ভোটের হার ইতিমধ্যে ৫০ শতাংশ ছাপিয়ে গিয়েছে।
বিহারের রোহতস জেলার করগহর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট দিলেন জন সুরাজ পার্টির প্রধান প্রশান্ত কিশোর। ভোটদানের পরে বিহারের সাধারণ ভোটারদের উদ্দেশে ‘পরিবর্তনের পক্ষে’ ভোট দেওয়ার বার্তা দেন তিনি।
সকাল ১১টা পর্যন্ত বিহারে ৩১.৩৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে বিহারের কিশনগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে। সকাল ১১টা পর্যন্ত সেখানে ভোটদানের হার ৩৪.৭৪ শতাংশ।
সকাল ৯টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে গয়ায়। সেখানে ১৫.৯৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর পরেই রয়েছে কিশনগঞ্জ (১৫.৮১ শতাংশ) এবং জামুই (১৫.৭৭ শতাংশ) বিধানসভা কেন্দ্র। সকাল ৯টা পর্যন্ত সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে মধুবনীতে (১৩.২৫ শতাংশ)।
সকাল ৯টা পর্যন্ত বিহারে ভোট পড়েছে ১৪.৫৫ শতাংশ। প্রথম দফার নির্বাচনের দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোট পড়েছিল ১৩.১৩ শতাংশ। দ্বিতীয় দফার তার তুলনায় কিছুটা বেশি ভোট পড়ল সকালে।
বিহারের পূর্ণিয়ায় ভোট দিলেন নির্দল সাংসদ পাপ্পু যাদব। সুপৌলে ভোট দিলেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শাহনওয়াজ় হোসেন।
দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হতেই বিহারবাসীর উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও। সমাজমাধ্যমে তিনি বিহারবাসীর উদ্দেশে লেখেন, ‘চাকরি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং শিল্পের জন্য, গণতন্ত্র ও সংবিধানের রক্ষার জন্য এবং বিহারের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য ভোট দিন।এমন একটি সরকার গঠন করুন যা আপনাদের জন্য কাজ করবে।’
দ্বিতীয় দফার ভোটের সকালে বিহারবাসীর উদ্দেশে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সমাজমাধ্যমে এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘আমি সকল ভোটারকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে ভোটদানের নতুন রেকর্ড গড়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’ নতুন ভোটারদের উদ্দেশেও বিশেষ বার্তা দেন তিনি। তরুণদের উদ্দেশে তিনি লেখেন, ‘যাঁরা প্রথম বারের মতো ভোট দিচ্ছেন, তাঁদের কাছে অনুরোধ, তাঁরা যেন নিজেরা ভোট দেওয়ার পাশাপাশি অন্যদেরও ভোটদানে অনুপ্রাণিত করেন।’
বিহারে ১২২টি বিধানসভা কেন্দ্রে শুরু ভোটগ্রহণ। সকাল থেকে বিভিন্ন বুথে সাধারণ ভোটারদের লাইন দেখা গিয়েছে।
দ্বিতীয় দফার ভোটের জন্য বিহারে চার লক্ষেরও বেশি নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হচ্ছে। মঙ্গলবারের ভোটে মোট ৮৪৯১টি ভোটগ্রহণকেন্দ্রকে বিহার পুলিশ স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে বলে পিটিআই সূত্রে খবর। ওই ভোটগ্রহণকেন্দ্রগুলিতে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিহার সীমানা লাগোয়া জেলাগুলিতে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে ঝাড়খণ্ড পুলিশও। বিহারের দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে ঝাড়খণ্ড সীমানায় অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বিহার সীমানা লাগোয়া ১০ জেলায় ঝাড়খণ্ড পুলিশ ৪৩টি চেকপোস্ট বসিয়েছে বলে সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর।
বিহারে শুরু হল দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। মঙ্গলবার বিহারের মোট ১২২টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। তালিকায় রয়েছে পূর্ব এবং পশ্চিম চম্পারন, সীতামারি, মধুবনী, কিসানগঞ্জের মতো নেপাল সীমান্তবর্তী বিধানসভা কেন্দ্রগুলিও। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে মোট প্রার্থী রয়েছেন ১৩০২ জন। ভোটারের সংখ্যা সাড়ে তিন কোটিরও বেশি।