ছবি: পিটিআই।
নির্বাচনী প্রচার নেমেছিল ব্যক্তিগত আক্রমণে। পূর্ব দিল্লির আপ প্রার্থী অতিশী দাবি করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অশালীন ভাষায় লেখা বিবৃতি ছড়ানো হচ্ছে। তাতে জড়িত রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী গৌতম গম্ভীর। জবাবে প্রাক্তন ক্রিকেটার গম্ভীর আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন। আজ ভোট দেওয়ার পরে অতিশী জানালেন, ‘নিঃশব্দ ভোটার’রা সব সময়েই আপের পাশে থাকেন। আর গম্ভীর টুইটারে জানিয়ে দিলেন, তাঁর কাজ শেষ। এ বার দিল্লির ভোটারদের দায়িত্বপালনের পালা।
আজ ভোট দেওয়ার পরে অতিশী বলেন, ‘‘২০১৫ সালে দিল্লি বিধানসভা ভোটের সময়ে অনেক প্রার্থীকেই হারানো সম্ভব নয় বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু আম আদমি পার্টির নতুন প্রার্থীরা বিজেপি-কংগ্রেসকে হারিয়েছিলেন। কংগ্রেসের আসন শূন্যে নেমে গিয়েছিল। বিজেপির আসন দাঁড়িয়েছিল তিনে।’’
পূর্ব দিল্লির যে সব ভোটার নানা বিষয় নিয়ে সরব হন না তাঁরা কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না বলে মনে করেন অতিশী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আপনি নানা জায়গায় গিয়ে ভোটারদের প্রশ্ন করতে পারেন। ২০ জনের মধ্যে হয়তো ১ জন বলবেন তিনি কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। বোঝাই যাচ্ছে এটা আপ আর বিজেপির লড়াই।’’ তাঁর মতে, ‘নিঃশব্দ ভোটার’রা সব সময়েই আপের পাশে থাকেন। তাঁর কথায়, ‘‘২০১৩ ও ২০১৫ সালে এই ভোটারেরা এমন এক দলকে ভোট দিয়েছিলেন যে দল তাঁদের স্বার্থে কাজ করে।’’ অতিশীর মতে, পূর্ব দিল্লির ভোটে মহিলা সুরক্ষা অন্যতম বিষয়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ত্রিলোকপুরী ও কল্যাণপুরীর মতো গরিব এলাকায় মহিলারা বেআইনি মদ ও মাদকের ব্যবসার শিকার। বিবেক বিহার ও ময়ূর বিহারের মহিলারা রাতে বেরোতে সাহস পান না। ভোটের সময়ে এই মহিলারা নিজেদের মত জানাবেন।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আজ রাজেন্দ্রনগরে ভোট দেন সস্ত্রীক গম্ভীর। পরে ভোটের লাইনে দাঁড়ানোর ছবি টুইট করে গম্ভীর বলেন, ‘‘আমার কাজ করেছি। এখন আপনারা যান, ভোট দিন।’’