মোদী ফিরে এলে উঠেই যাবে ভোট: কেজরীবাল

গত কালের ধাঁচেই ফের নরেন্দ্র মোদীকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করলেন অরবিন্দ কেজরীবাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯ ০৬:৩৩
Share:

অরবিন্দ কেজরীবাল। ফাইল চিত্র।

গত কালের ধাঁচেই ফের নরেন্দ্র মোদীকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। আজ দিল্লিতে বইয়ের উদ্বোধনে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সমস্ত দেশপ্রেমীর উচিত, একজোট হয়ে মোদী সরকারের ক্ষমতায় ফেরা আটকানো। কারণ, ২০১৯-এ মোদী ফিরলে তিনি চিরদিনের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাবেন। কারণ তার পরে দেশে আর কোনও দিন নির্বাচনই হবে না।’’

Advertisement

তথ্যের অধিকার আইন (আরটিআই)-এর সাহায্য নিয়ে মোদী সরকারের গত পাঁচ বছরের কাজের খতিয়ান তাঁদের ‘ওয়াদা-ফরমৌশি’ বইয়ে তুলে ধরেছেন সঞ্জয় বসু, নীরজ কুমার এবং শশী শেখর। দুর্দশাগ্রস্ত ভারতীয় রেল, দেশে শিক্ষার হাল তথা শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারের বিনিয়োগ, পাঁচ বছরের শেষে মোদীর স্বপ্নের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের প্রকৃত অবস্থা— আরটিআই-এর মাধ্যমে এই সমস্ত বিষয় সংক্রান্ত তথ্য বিভিন্ন মন্ত্রক থেকে সংগ্রহ করেছেন সঞ্জয়রা। বইয়ে সেই তথ্য সংকলিত করে তাঁরা দেখাতে চেয়েছেন, মোদীর প্রতিশ্রুতির অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়নি। আজ সেই বইয়েরই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেজরীবাল বলেন, ‘‘বর্তমান সময়ে যেখানে প্রশ্ন করলেই ‘দেশদ্রোহী’ তকমা সেঁটে দেওয়া হচ্ছে, সেখানে বইটির লেখকদের তথ্য জোগাড় করতে কী পরিমাণ কষ্ট করতে হচ্ছে, তা সহজেই অনুমেয়।’’

দিল্লিতে সাতটি আসনে বিজেপির সঙ্গে মূলত লড়াই হতে চলেছে আম আদমি পার্টির। তাই আজ বিজেপিকে আক্রমণ করার সুযোগ ছাড়েননি কেজরীবাল। হোলির দিনে গুরুগ্রামের একটি মুসলিম পরিবারকে মারধরের ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, হিটলারের সময়ে ঠিক এমন ঘটনা ঘটত। তাঁর দাবি, ‘‘হিটলারের ‘ব্রাউন শার্ট’ নামে একটি দল ছিল। যাদের কাজ ছিল, হিটলারের বিরুদ্ধে যাঁরা মুখ খুলছেন, তাঁদের নিকেশ করে দেওয়া। সেই প্রবণতা এখন ভারতেও দেখা দিয়েছে। গুরুগ্রামের ঘটনার জন্য বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারের কর্মীদের দিকে আঙুল তুলে কেজরীবাল বলেন, ‘‘গোটা দেশে একটি রাজনৈতিক দলের কিছু গুন্ডা ওই কাজ করছে। কিন্তু সেই গুন্ডাদের যখন প্রধানমন্ত্রী নেপথ্য সমর্থন দেন, তখনই তা সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন