ছবি: পিটিআই।
পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের ১৬৮টি বুথে আজ ফের ভোট হল। গত ১১ এপ্রিল ভোট হয়েছিল এখানে। সে বার ঢালাও ছাপ্পা ভোট এবং রিগিং এর অভিযোগ ওঠায় আজকের পুনর্ভোটের জন্য বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে তো বটেই, বাইরেও ছিল সিসি ক্যামেরা। আলাদা ভাবে ভিডিয়োও তোলা হয় বিভিন্ন জায়গায়। সব ভোটকেন্দ্রের ভিতরে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী, বাইরে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস। তা সত্ত্বেও এ দিনের ভোট পুরোপুরি নির্বিঘ্ন হতে পারেনি।
কাকড়াবন-শালগড়ার ১১ নং বুথে সেক্টর অফিসার ও কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের নিয়ে বুথের দিকে নিয়ে যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। সকলে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন।
বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি পেয়ে ভোটাররা ভয়ে আর বুথমুখো হননি বলে অভিযোগ উদয়পুর জেলা কংগ্রেস সভাপতির। গোমতির জেলাশাসক জানান, ইট দিয়ে ভোটারদের মাথা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি খবর পেয়েছেন। পরে জেলার এসপি অতিরিক্ত বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। নিরাপত্তা দিয়ে ভোটারদের আনার ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। তা-ও তাঁরা আর ভোট দিতে আসেননি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাশের অভিযোগ, বিজেপির দুর্বৃত্তরা বামফ্রন্টের ভোটারদের হুমকি দেওয়ায় ১০-১৫% ভোটার ভোট দিতে পারেননি। কিছু জায়গায় পোলিং এজেন্টদের যেতে দেয়নি বা যাওয়ার পরেও বার করে দিয়েছে। বিজেপির দাবি, কংগ্রেস-সিপিএম দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে, পোলিং এজেন্টও দিতে পারছে না। বিজেপির প্রার্থী প্রতিমা ভৌমিকের দাবি, কিছু এলাকায় পুলিশ ও আধাসেনা অতি উৎসাহে বিজেপি সমর্থদের হেনস্থা করেছে। সিআরপি বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের মেরেছে।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক শ্রীরাম তরণীকান্ত অবশ্য জানিয়েছেন, ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কিছু অভিযোগ এসেছে। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে সেগুলি পাঠানো হয়েছে। বিকেল পাঁচটা ভোট পড়েছে ৭২.৩২ শতাংশ। তার পরেও যাঁরা লাইনে ছিলেন, তাঁদের টোকেন দেওয়া হয় এবং সন্ধের পরেও ভোট নেওয়া হয়।