National News

‘বিজেপির জন্য প্রাণ দিতে হয়েছিল রাজীবকে’, মোদীকে পাল্টা তোপ আহমেদ পটেলের

গত কাল দিল্লির রামলীলা ময়দানে রাজীবকে নিয়ে কংগ্রেসকে বিঁধতে বিঁধতে মোদী তুলে আনেন রাহুল গাঁধীর অভিযোগের কথা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৯ ১১:৪৯
Share:

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর মৃত্যুর জন্য এ বার সরাসরি বিজেপিকেই দায়ী করলেন সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেল। টুইট করে বললেন, ‘‘বিজেপি ওই সময় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহের সরকারকে সমর্থন করেছিল। আর সেই সময় বার বার বলা সত্ত্বেও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীকে বাড়তি নিরাপত্তা দিতে অস্বীকার করেছিল প্রধানমন্ত্রী ভি পি সিংহের সরকার। তাঁকে দেওয়া হয়েছিল শুধু এক জন নিরাপত্তা অফিসার। গোয়েন্দা সংক্রান্ত কাজে যাঁর পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতাও ছিল না। রাজীবের মৃত্যুর জন্য তা হলে দায়টা কার?’’

Advertisement

গত কাল দিল্লির রামলীলা ময়দানে রাজীবকে নিয়ে কংগ্রেসকে বিঁধতে বিঁধতে মোদী তুলে আনেন রাহুল গাঁধীর অভিযোগের কথা। বলেন, ‘‘নামদার আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, সেনাকে আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি করে ফেলেছি। কিন্তু আমি আজ জানাচ্ছি, আসলে সেনাকে কে ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করেছিলেন?’’ এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজীব গাঁধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সমুদ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইএনএস-বিরাট যুদ্ধজাহাজে গোটা পরিবার নিয়ে একটি নির্জন দ্বীপে দশ দিনের ছুটি কাটাতে যান। নিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকেদেরও। যুদ্ধজাহাজকে ট্যাক্সি হিসেবে ব্যবহার করেন তাঁরা!’’

মোদী বলেন, ভারতীয় সেনার বিমানেও ইতালি থেকে আসা বিদেশিদের ছুটিতে নিয়ে যান। তাঁদের দেখভালের জন্য সেনার বিশেষ হেলিকপ্টারও মোতায়েন ছিল। আর শুধু রাজীব নন, নেহরু-ইন্দিরার আমল থেকেই এই পারিবারিক ছুটি কাটানোর চল রয়েছে বলে জানান মোদী।

Advertisement

আরও পড়ুন- নৌবাহিনীর জাহাজে সপরিবার প্রমোদ ভ্রমণ, রাজীব গাঁধীকে ফের আক্রমণ মোদীর​

আরও পড়ুন- দিল্লির পথসভা থেকে মোদীকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ প্রিয়ঙ্কার​

তারই জবাবে বৃহস্পতিবার টুইটে আহমেদ পটেল লেখেন ‘‘কোনও শহীদ প্রধানমন্ত্রীর অবমাননা আদতে কাপুরুষতারই দৃষ্টান্ত। ওঁর (রাজীব) মৃত্যুর জন্য দায়ী ছিলেন কারা?’’ ? & রামলীলায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শেষ হওয়ার আগেই গত কাল বিজেপি জানায় ১৯৮৭ সালে লক্ষদ্বীপের বাঙ্গারাম দ্বীপে দশ দিনের ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন রাজীব। সনিয়া রাহুল প্রিয়ঙ্কাসহ ছিলেন সনিয়ার মা বোন জামাইবাবুও। ছিলেন অমিতাভ বচ্চন জয়া বচ্চন ও তাঁদের ছেলেমেয়েরাও। আর ছিলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন সিংহের ভাই ও তাঁর স্ত্রী। যে অর্জুনের আমলে ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা ঘটেছিল। ১৯৫০ সালে জওহরলাল নেহরুও ‘আইএনএস দিল্লি’তে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার সময়ে পরিবারকে নিয়ে যান। সেই জাহাজের ডেকে ছোট্ট রাজীব ও সঞ্জয়ের ছবিও পোস্ট করে বিজেপি।

রামলীলায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শেষ হওয়ার আগেই গত কাল বিজেপি জানায় ১৯৮৭ সালে লক্ষদ্বীপের বাঙ্গারাম দ্বীপে দশ দিনের ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন রাজীব। সনিয়া রাহুল প্রিয়ঙ্কাসহ ছিলেন সনিয়ার মা বোন জামাইবাবুও। ছিলেন অমিতাভ বচ্চন জয়া বচ্চন ও তাঁদের ছেলেমেয়েরাও। আর ছিলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন সিংহের ভাই ও তাঁর স্ত্রী। যে অর্জুনের আমলে ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা ঘটেছিল। ১৯৫০ সালে জওহরলাল নেহরুও ‘আইএনএস দিল্লি’তে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার সময়ে পরিবারকে নিয়ে যান। সেই জাহাজের ডেকে ছোট্ট রাজীব ও সঞ্জয়ের ছবিও পোস্ট করে বিজেপি।

তারই জবাবে বৃহস্পতিবার টুইটে আহমেদ পটেল লেখেন ‘‘কোনও শহীদ প্রধানমন্ত্রীর অবমাননা আদতে কাপুরুষতারই দৃষ্টান্ত। ওঁর (রাজীব) মৃত্যুর জন্য দায়ী ছিলেন কারা?’’ ? &

আহমেদ পটেল এ দিন তাঁর টুইটে সখেদে বলেন, ‘‘বিজেপির ঘৃণা-বিদ্বেষের রাজনীতির জন্যই রাজীবজিকে প্রাণ দিতে হয়েছিল। এই সব ভিত্তিহীন অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য তিনিও আজ আর আমাদের মধ্যে নেই।’’

দিনকয়েক আগেই প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। রাজীবকে দেশের ‘এক নম্বর দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলেছিলেন। তার জবাবে কংগ্রেস সভাপতি বলেছিলেন, ‘‘ওঁর (মোদী) লড়াই শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন উনি (মোদী) ওঁর কর্মফলের জন্য অপেক্ষা করছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন